অবশেষে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সফল বলে বিবেচিত ভিয়েতনামে নতুন করে ১২ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। তবে সে দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদের সবাই বিদেশফেরত। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে স্থানীয়ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো ঘটনা নেই।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম আগ্রাসী ও সুনির্দিষ্ট শনাক্তকরণ পরীক্ষা এবং কেন্দ্রীয় কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সফলতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। তবে মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে ফেরা ভিয়েতনামি নাগরিকদের একটি দলকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
ভিয়েতনাম সরকার শুরু থেকেই কভিড- ১৯ আক্রান্ত ও সম্ভাব্য আক্রান্তদের খুঁজে বের করতে বিপুলসংখ্যক পরীক্ষা এবং সময়মতো কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে। সংক্রমণের উৎপত্তিস্থল চীনের প্রতিবেশী হিসেবে উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকার পরও দেশটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৯৬ জন নতুন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের প্রায় ৯০ শতাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সেখানে ভাইরাসটিতে এখনো কারও মৃত্যু হয়নি।
তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে স্থানীয়ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো ঘটনা নেই। দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত সবচেয়ে গুরুতর রোগীটিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এদিকে গতকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মহামারীতে মৃতের সংখ্যা ৬ লাখ ১৩ হাজার ছাড়াল। মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।
গত সোমবার ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ৫ শতাধিক মৃত্যুতে মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজারে। আক্রান্ত প্রায় ৪০ লাখ। সোমবারও দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে ব্রাজিল। মারা গেছেন ৭শ’র বেশি মানুষ।
এদিকে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ২১ লাখ ২৫ হাজার। নতুন করে ৬০০ মৃত্যুতে প্রাণহানি ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে ভারতে। রেকর্ড ৩৭ হাজার সংক্রমণ শনাক্তে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখের বেশি। চতুর্থ দেশ হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই মেক্সিকোতে। আক্রান্ত সাড়ে ৩ লাখ। প্রাণহানি বেড়েছে ইরান, পেরু, কলম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক