করোনাভাইরাসের গায়ের স্পাইক বা কাঁটাগুলোই সংক্রমণের মূল। এত দিন জানা ছিল, সংক্রমিত হওয়ার পরে মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে, তা প্রথমেই শেষ করে স্পাইক প্রোটিনকে। জার্মানির এক দল বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, অ্যান্টিবডি প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে করোনারও। ফলে স্পাইক প্রোটিনের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না ওই অ্যান্টিবডি। ‘সায়েন্স’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।
আল্ট্রা-হাই রেজ্যুলিউশন মাইক্রোস্কোপি পদ্ধতির সাহায্যে পরীক্ষা করে জার্মানির ‘ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব বায়োফিজিক্স’-এর গবেষকেরা দাবি করছেন, করোনাভাইরাসের উপরিভাগে স্পাইক প্রোটিনকে ঢেকে রেখেছে শর্করা জাতীয়-অণু ‘গ্লাইক্যান’। কাঁটার মতো দেখতে স্পাইক প্রোটিনটির মাথার অংশ গোলাকার। নীচের অংশ একটি লম্বা স্ট্যান্ড।
গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, এই স্ট্যান্ডটি বেশ নমনীয়। ব্যাপকভাবে নড়াচড়া করতে পারে। সংক্রমিত কোষটিকে স্ক্যান করে ফেলে সে। এবং সেই অনুযায়ী গায়ে চাপিয়ে ফেলে গ্লাইক্যান-বর্ম।
ভাইরাসের এই চরিত্রটি প্রতিষেধক তৈরিতে সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা