করোনার গ্রাসে গোটা বিশ্ব। সংক্রমণের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বিশ্বের একাধিক দেশ করোনার টিকা তৈরির কাজে ব্যস্ত। ইতিমধ্যেই বিশ্বের মধ্যে প্রথম করোনার টিকা আবিষ্কার করে সকলকে চমকে দিয়েছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার এই নতুন ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি-র কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল ছাড়াই তাড়াহুড়ো করে করোনার টিকা বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে বলে অভিযোগ করতে দেখা যায় অনেককেই।
এমন পরিস্থিতে রাশিয়ার অনুমোদিত করোনার টিকার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশটির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ অফিস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ শাখার জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বলেন, ‘টিকাটির ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছি।’ শাখার পরিচালক ডাঃ হান্স ক্লুগে বলেছেন, ‘আমরা সব আবিষ্কারকে স্বাগত জানাই। কিন্তু প্রতিটি টিকার ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল জমা দিতে হবে।’
এদিকে, চূড়ান্ত বা তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ না হওয়ায় রাশিয়া এখনো তাদের ‘স্পুটনিক ভি’ টিকার কোনো ডেটা জমা দেয়নি। সমস্যাটা মূলত এখানেই। তবে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে রাশিয়ার ইতিহাস খুব সমৃদ্ধ। এ কারণেই অনেকে তাদের ওপর ভরসা রাখতে চাচ্ছেন। তবে পশ্চিমারা বলছেন, ট্রায়ালের ডেটা দেখার আগে টিকা নিয়ে খুশি হওয়ার কিছু নেই।
উল্লেখ্য, বিশ্বজোড়া বিতর্কের মধ্যেও এই ভ্যাকসিনকে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অনুমোদিত ভ্যাকসিনটি প্রথম প্রয়োগ করা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের মেয়ের দেহেই। তিনি এখনও সুস্থই আছেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন প্রস্তুতকারক সংস্থা গামালেয়া বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির প্রধান আলেকজান্ডার গিন্সবুর্গ। তিনি এখনও সুস্থবোধ করছেন বলেই জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ