করোনা সংক্রামণের হটস্পট বাগেরহাট শহরে ঢিলেঢালাভাবে চলেছে লকডাউনের প্রথম দিন। দিনভর চলেছে যাত্রীবাহী যানবাহন। স্বাভাবিক অবস্থার লকডাউনের প্রথম দিনেও শহরের হোটেল, রেস্তোরা ও চায়ের দোকানে বসে খাওয়ার পাশাপাশি লোকজনকে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। জরুরী সেবাদানকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অধিকাংশ দোকানপাট খোলা ছিল। প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে লোকজনকে শহরে ঘুরে ফিরতে দেখা গেছে। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অধিকাংশ মানুষ। তবে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেখলেই লোকজন অলিতে-গলিতে গা ঢাকা দিয়েছে। আবার তারা চলে গেলেই চলেছে হোটেল, রেস্তোরা ও চায়ের দোকানে বসে খাওয়ার, যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করেছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন থেকে বলা হয়েছে, বাগেরহাট শহরে করোনার হটস্পট। লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রামণ। গত ১৫ দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত ৫৭ জনের মধ্যে ৫৪ জনই হচ্ছেন বাগেরহাট শহরের বাসিন্দা। এরমধ্যে শুক্রবার ভোরে আকরাম হোসেন (৭১) নামে এক আইনজীবী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যু হয়েছে।
অন্য ৫৩ জন চিকিসাধীন রয়েছেন। রবিবার দিবাগত মধ্যরাত ঢাকার শ্যামলী ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাষ্টার আবুল খায়েরের (৫৬) মৃত্যু হয়েছে।
এনিয়ে বাগেরহাট জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণে জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, আইনজীবী, সরকারি কর্মচারি, সাংষ্কৃতিক কর্মীসহ মোট ২৮ জনের মৃত্যু হল। রবিবার বাগেরহাট জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ জনের। আর এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ১১৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৫৭ জন সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ