নাটোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে মরিয়ম (৬০) ও আজগর আলী (৭০) নামে ২ জন মারা গেছে। এদের মধ্যে গুরুদাসপুরের মরিয়ম গত রাতে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং শহরতলির দত্তপাড়া গ্রামের ৭০ বছরের আজগর আলীকে গতকাল বিকেলে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান।
এনিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪ জনে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭০ জন করোনা পজেটিভ হয়েছে। সংক্রমণের হার ৪১ শতাংশ। যা গত দিনের চেয়ে ৭.৮৩ শতাংশ বেশী। জেলায় মোট আক্রান্ত ২২৬৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতলের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪২ জন। অবশ্য গতকাল ৩১ আসনের করোনা ইউনিটকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। শয্যা উন্নীত করণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল।
এদিকে ৪৪ কর্মকর্তা কমচারীর মধ্যে ১৪ জন করেনায় আক্রান্ত হওয়ায় গতকাল থেকে নাটোর পৌর কার্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন চলছে। পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি লকডাউন ঘোষণা করেন।
অপরদিকে সংক্রমন প্রতিরোধে নাটোর ও সিংড়া পৌর এলাকায় জেলা প্রশাসন ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন আজ। কদিনের লকডাউনে নিন্ম আয়ের মানুষদের দুর্ভোগে চরমে উঠেছে। অন্যদিনের মত আজকেও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা শহরের লকডাউন সফল করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একাধিক মোবাইল টিম কাজ করছে। এতো কিছুর পরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনিহা সাধারণ মানুষের। প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে বেড়িয়ে আসছে রাস্তা বা হাট বাজারে।
সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমন বাড়ছে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, কঠোর বিধি নিষেধ দেওয়া সত্বেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাচ্ছেন না। ফলে নাটোরে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমছে না। এখনও রেডজোনের তালিকায় রয়েছে নাটোর। করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী মানবিক সহায়তা হিসেরে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে মেয়র উমা চৌধুরী জলি এসব খাদ্য সহায়তা বিতরণ করছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
.jpg)
