কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার ৯টা পর্যন্ত) ৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৭০২ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৫ জন, কুলিয়ারচরে ৪ জন ও বাজিতপুরে ২ জন।
রবিবার রাতে সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২৪, ২৬ ও ২৭ জুন (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ২৬ জুন বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১০২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তবে কিশোরগঞ্জ-২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১৩ জন, কুলিয়াচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০ জন ও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জনসহ মোট ৮৯ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।
এদিকে, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৮ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ১১ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৮৭ জন।
বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬০৪ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৪৫ জন, হোসেনপুরে ৬ জন, করিমগঞ্জে ১৬ জন, তাড়াইলে ১০ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৫ জন, কটিয়াদীতে ৩৪ জন, কুলিয়ারচরে ২১ জন, ভৈরবে ২৭ জন, নিকলীতে ৩ জন, বাজিতপুরে ১২ জন ও ইটনায় ৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে/আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৪৭ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিনের জন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করেনি বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৮১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১০ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ২৯৭ জন। এছাড়া সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১০ জন। এ নিয়ে সাইনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ৩০ জন।
উল্লেখ্য, ২৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন