চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তে গত দেড় বছরের রেকর্ড ভাঙল। রবিবার একদিনেই নতুন করে আক্রান্ত হল ৩২৬ জন এবং একদিনে মারা যান সাত জন। গত বছর এপ্রিল-জুন-জুলাই মাসের করোনার প্রকট সময়েও দৈনিক ৩০০ জন আক্রান্ত হয়নি। তখন সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছিল ১৩০ থেকে ১৫০ জন পর্যন্ত। এছাড়া অতীতে উপজেলা পর্যায়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু কম থাকলেও এখন এ দু'টি লাফিয়েই বাড়ছে। ফলে বাড়ছে শঙ্কা, বাড়ছে আতঙ্ক।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন শনিবার একদিনেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০০ জন, ২৫ জুন আক্রান্ত হয় ২১৬ জন, ২৪ জুন আক্রান্ত ২৪৭ জন, ২৩ জুন আক্রান্ত ২৩৬ জন, ২২ জুন আক্রান্ত ২২৬ জন ও ২১ জুন ১৯০ জন আক্রান্ত হয়। গত রবিবার চট্টগ্রামের একদিনে ১০টি ল্যাবে ১ হাজার ১৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩২৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়। বর্তমানে চট্টগ্রামে শনাক্তের হার ২৯ শতাংশ।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘৩২৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়। এটি চট্টগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ রেকর্ড। বিষয়টি আমাদেরও ভাবিয়ে তুলছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। এখন আমাদেরকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতন থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের প্রধান ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস বলেন, করোনা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই সংক্রমণের হার বাড়ছে। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা না মানার খেসারত। করোনার অতীত সময় থেকে আমরা অনেক বেশি বেপরোয়া হয়ে গেছি।
জানা যায়, চট্টগ্রামে গত শনিবার পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হন ৫৭ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৪৫ হাজার ৩৫৭ জন এবং উপজেলায় ১২ হাজার ৬৪০ জন। ইতোমধ্যে মারা গেছেন ৬৮৮ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৪৬৯ জন ও উপজেলায় ২১৯ জন। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ১০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ