সিরাজগঞ্জের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউনের কোনও কিছু মানছেন না। এতে সিরাজগঞ্জে প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সোমবার (১৮ জুন) জেলায় ৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ৪ হাজার ৩৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৯ জন। মারা গেছেন ৩১ জন। সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে ১৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে ও জেলার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সরেজমিনে জেলা শহর ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই শপিংমল ও দোকানপাট খোলা রয়েছে। হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাচ্ছে। সিএনজিচালিত অটোরিকসায় ৫ জন ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকসায় ৮-১০ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। গায়ের সাথে গা লাগিয়ে যাত্রীরা সিটে বসে রয়েছে। দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছে। তবে প্রশাসনের লোকদের দেখে সব গুটিয়ে নেয়া হচ্ছে। লকডাইনে শুধু যাত্রীবাহী বাস বন্ধ রয়েছে। আর সবকিছু আগের মতোই চলছে।
গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও ভয়াবহ। গ্রামের হাটবাজারগুলো আগের মতোই চলছে। কেউ মাস্ক পরছে, কেউবা পরছে না। স্বাস্থ্যবিধির মানার বালাই নেই কারোর মাঝে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারি কম থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও করোনা শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, করোনা চিকিৎসা সংকটের অবস্থাও জেলায় ভয়াবহ। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে শুধু নমুনা সংগ্রহ ছাড়া কোন সেবা দেয়া হয় না। জেলা সদরে হাসপাতালে করোনা ইউনিট খোলা থাকলেও সেখানে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রোগীর এ অবস্থা একটু সংকট হলেও তাকে ঢাকা-বগুড়া ও রাজশাহী রেফার্ড করা হচ্ছে। এতে রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম জানান, করোনা প্রতিরোধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সরকারের পরিপত্র অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জনগণকে উদ্বুদ্ধকরন ও পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরন করা হচ্ছে। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে কাজ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ১ জুলাই থেকে কিছু কিছু রাস্তা সিল করে দেয়া হবে। সব মিলিয়ে করোনা প্রতিরোধে পুলিশ প্রথম সারির ভূমিকা পালন করছে এবং করবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত