কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ মঙ্গলবার (২৯ জুন) সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৮৬৬ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৮ জন, হোসেনপুরে ২ জন, করিমগঞ্জে ৫ জন, তাড়াইলে ৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ৪ জন, কটিয়াদীতে ৫ জন, ভৈরবে ৫ জন, নিকলীতে ১ জন, বাজিতপুরে ২ জন ও ইটনায় ১ জন। সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনিবলেন, কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৮ জুন বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৫ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন, কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন ও বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জনসহ মোট ৩৯ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৮ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ৭১ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৮৭ জন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭০৮ জন। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫১৪ জন, হোসেনপুরে ৮ জন, করিমগঞ্জে ২১ জন, তাড়াইলে ১৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ২১ জন, কটিয়াদীতে ৩৫ জন, কুলিয়ারচরে ২১ জন, ভৈরবে ৪৫ জন, নিকলীতে ৪ জন, বাজিতপুরে ১৮ জন ও ইটনায় ৬ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৫২ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৬ জন।গত ২৪ ঘন্টায় ভ্যাকসিনের জন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করেনি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৮১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের টিকার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৪০ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ হাজার ১০২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ আল সিফাত