করোনা সংক্রামণ রোধে চলমান লকডাউনের চতুর্থ দিনে বরিশালের রাস্তায় মানুষজনের চলাচল বেড়েছে। নানা অজুহাতে রাস্তায় নামছেন তারা। যানবাহন চলাচলও আগের ৩ দিনের চেয়ে বেড়েছে। তবে অপ্রয়োজনীয় যানবাহন চলাচল রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসন।
যত দিন যাচ্ছে লকডাউনের মধ্যে তত বাড়ছে মানুষ জনের চলাচল। কিছু মানুষ চিকিৎসা এবং খাদ্য সংস্থানের প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলেও নানা অজুহাত নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন অনেকে। রাস্তায় বেড়েছে রিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশা ও ভ্যান এবং পন্যবাহী যান চলাচল। রিকশা ভ্যান এবং অটো রিকশায়ও চলাচল করছে অনেক যাত্রী। মোটরসাইকেল চলাচলও বেড়েছে আগের ৩ দিনের চেয়ে।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর আমতলা মোড় এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন মজুমদার। এ সময় তিনি নিজে যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করেন। অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের ফিরিয়ে দেন। মামলা দেন বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধেও। এমনকি তার উপস্থিতিতে অপ্রয়োজনে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের মোটরসাইকেল আটক এবং মামলা করে ট্রাফিক সার্জেন্ট।
এ সময় উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, গত ৩ দিনের চেয়ে চতুর্থ দিনে রাস্তায় মানুষ এবং যানবাহন চলাচল কিছুটা বেড়েছে। অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। পন্যবাহী এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে নগরীর বেশীরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু চায়ের দোকান খোলা রেখে জটলা বাড়ানো হচ্ছে। পুলিশের নির্দেশে শের-ই বাংলা মেডিকেলের সামনের খাবার হোটেলগুলো বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাজার হাজার রোগীর স্বজন। গত দুই দিন ধরে খাবারের জন্য ঘুরছে তারা। এ কারনে মেডিকেলের সামনের হোটেলগুলো সম্মিলিতভাবে খাবার রান্না করে গত দুইদিন ধরে বিনামূল্যে রোগীর স্বজনদের মাঝে বিতরণ করছে। তারা সীমিত পরিসরে খাবার দোকানগুলো খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন। এ খবর জানার পর দুপর ২টার পর মেডিকেলের সামনের খাবার হোটেলগুলো সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
এদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে নগরী এবং জেলার ১০ উপজেলায় অভিযান চালাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্য বিধি লংঘন কিংবা লকডাউন উপেক্ষা করলেই তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার মো. আলী সুজা। তিনি বলেন, বরিশালে করোনা সংক্রমণের হার আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ