দেশের বাণিজ্য বিপণন খাতের পেশাজীবী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তঃব্যক্তিক সম্পরক উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে উদযাপিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে।
শুক্রবার সকালে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করবেন বলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান- বাংলাদেশ মার্কেটার ইনিস্টিটিউটের উদ্যোক্তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা দাবি করেন দেশের বাণিজ্য বিপণনে জড়িত প্রায় ১০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে দিনব্যাপী আয়োজনে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন মার্কেটিং ডে উদযাপন পরিষদের প্রধান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এবং মার্কটেল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শরিফুল ইসলাম দুলু।
আয়োজকরা বলছেন, বাণিজ্যে বিপণনের পেশাজীবী এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে মেলবন্ধন তৈরি করতেই দ্বিতীয়বারের মত আয়োজিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে।
সকল স্নাতক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগের উদ্যোগে– ভোক্তাই প্রথম – শিরোনামে বৃহস্পতিবার দেশেজুড়ে উদযাপনের শুরু হবে বলে জানানো হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে মূল আয়োজন। দিনব্যাপী আয়োজনে পেশগত অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন বিপণন খাতের শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীগণ। পাশাপাশি চলবে বিষয়ভিত্তিক অধিবেশন।
আয়োজকরা বলছেন, বিপণন খাতের বৈশ্বিক পরিবর্তন, প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী বিপণনসহ গ্রাহকবান্ধব টেকসই বিপণনের মত বিষয়গুলো স্থান পাবে উপস্থাপনায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, দেশের বিপণনখাতে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য ‘মার্কেটিং ডে’ বড় উদযাপন হিসেবে পরিচিত পেয়েছে।
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ব্যবসায় শিক্ষার অন্যতম শাখা বিপণন। সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটছে বিপণন কৌশলের। তাই সংশ্লিষ্টদের বাজারের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা জরুরী। আর আন্তঃব্যাক্তিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ পাবেন অংশগ্রহণকারীরা।
আয়োজক পরিষদের সদস্য সচিব ড. শরিফুল ইসলাম দুলু বলেন, দেশের বিপণনখাতে জড়িত ৪৫ লাখ মানুষের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পেশাগত উতকর্ষ অর্জনের জন্যই- মার্কেটিং ডে।
দেশের বিপণনখাতে অধিকাংশ নির্বাহীরা বৈশ্বিকমানের নয় দাবি করে ড. শরিফুল ইসলাম দুলু বলেন, বিপনণের যায়গাটি অনেক বড়। সময়ের সাথে সাথে মাধ্যম এবং কৌশল পরিবর্তিত হচ্ছে। মার্কেটিং ডে উদযাপনের মাধ্যমে আমরা মার্কেটার ইনিস্টিটিউটের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি।
উল্লেখ্য, দেশের সকল জেলায় বিপণন পেশাজীবী শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য- মার্কেটার ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ– নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে দিবসটির আয়োজকদের।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম