বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
বেনাপোল স্থলবন্দর

বেড়েছে চোরাচালান কমেছে আমদানি

সীমান্তপথে চোরাচালান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বৃহত্তম যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন আমদানিকারকরা। ফলে এ বন্দর দিয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের তুলনায় চলতি (২০১৪-১৫) অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এক হাজার ৩০ মেট্রিক টন পণ্য কম আমদানি হয়েছে। এর কারণ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তারা দুষছেন শ্রমিকদের। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা দুষলেন সরকারি কর্মকর্তাদের।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, লাগামহীন চোরাচালানের কারণেই বেনাপোল স্থলবন্দরের এই দুর্গতি। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে এক লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হলেও এবার একই সময় আমদানি হয়েছে এক লাখ ৭৩ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন। সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব ছিল, যা এই মুহূর্তে নেই। তারপরও বেনাপোল বন্দরে বাড়েনি আমদানি। বরং কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। জানা গেছে, কাস্টম কর্মকর্তাদের নজরদারি বাড়ানোর নামে অহেতুক কড়াকড়ি এবং চোরাচালানি বেড়ে যওয়ায় পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্য চুরির ঘটনাও এর আরেকটি কারণ। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন জানান, চোরাচালানের কারণে 'আমদানিকারকরা মোটা অংকের লোকসান গুনছেন। ফলে আমদানি কমে গিয়ে রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরাও। এসব প্রতিকূল পরিবেশ দ্রুত কাটিয়ে উঠতে না পারলে আমদানিকারকদের ধরে রাখা যাবে না। বেনাপোল বন্দর আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, সীমান্ত পথে ব্যাপক চোরাচালানের কারণে আমদানি-রফতানিকারকরা এ বন্দর দিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। বেনাপোল কাস্টমের কমিশনার মাহবুবুজ্জামান জানান, চলতি অর্থবছরে শুল্কমুক্ত পণ্য বেশি আমদানি হয়েছে। এছাড়া দেশে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় তারা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করছেন না। যে কারণে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পণ্য আমদানি কিছুটা কমেছে। বেনাপোল বিজিবির কমান্ডার আইয়ুব হোসেন জানান, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রতিদিন চোরাচলানি পণ্য আটক হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক নিতাই চন্দ জানান, বন্দরে পণ্য চুরি অনেক কমেছে। বন্দরের বাইরে থেকে মালামাল চুরি হলে তাদের করার কিছু নেই। তবে, চুরি যেখান থেকেই হোক ক্ষতিগ্রস্ত হন আমদানিকারকরা। তাই পণ্য চুরিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর