শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

মাদারীপুরে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

নেই বাজার মনিটরিং জিম্মি সাধারণ ব্যবসায়ী

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর জেলা সদর থেকে শুরু করে প্রতিটি উপজেলা শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে রমজানের শুরু থেকেই পিয়াজ, রসুন, তৈল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সাধারণ ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে প্রায় প্রতিদিনই পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। প্রশাসনের মনিটরিং না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে এই সিন্ডিকেট। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলছে এই সিন্ডিকেট। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিনি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকা কেজি অথচ এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫৪ টাকা, দুই সপ্তাহের আগে চিনির দাম ছিল ৫০ টাকা। বর্তমানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। অথচ দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ৭৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হতো ৮০ টাকা। মোটা চালের কেজি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২৭ টাকা আর দুই সপ্তাহ আগে দাম ছিল ২৫ টাকা। পোলাউর চাল বর্তমানে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এর দাম ছিল ১০০ টাকা। সরিষার তেলের বর্তমান দর ১১০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ টাকা। খেসারি ডাল দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা। সেই ডাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি। ২০০ টাকা কেজির গুঁড়া হলুদ বর্তমানে ২২০ টাকা দরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান মোটা ডাল প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে হয়েছে ১০৫ টাকা। ৩৫০ টাকা দরের জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। ইসুবগুলের ভুসি প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা। আগে বিক্রি হতো ৭০০ টাকায় এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা কেজি। কাঁচা মালের দামও বেড়েছে প্রতিটি পণ্যে ৫ থেকে ১০ টাকা করে। পিয়াজের দাম আগে ছিল ২৫ টাকা, বর্তমানে ৩০-৩৫ টাকা, রসুন পূর্বে ছিল ৭৫ টাকা বর্তমানে ১০০ টাকা। একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সিন্ডিকেট সৃষ্টিকারী কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মজুদ রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে মাদারীপুর পৌরসভার বাজার পরিদর্শক শফিক স্বপন বলেন, শিগগিরই পৌর কর্তৃপক্ষ বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ খবর