বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

কুবিতে ‘শিবিরের’ দুজনকে ছাত্রলীগের পিটুনি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দুই শিক্ষার্থীকে শিবির বলে পিটিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মারধরের পরে এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও এক সহকারী প্রক্টর উপস্থিত হলেও তাদের অনেকটা নির্বাক দেখা যায়। বুধবার দুপুরে শিবিরবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের একটু দূরে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে ফোনে কথা বললে এক সাংবাদিককে থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দেওয়ার কথা বলেন প্রক্টর ড. কাজী কামাল উদ্দিন। জানা যায়, সিলেটে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে বুধবার ক্যাম্পাসে শিবিরবিরোধী বিক্ষোভ করে শাখা ছাত্রলীগ। বিক্ষোভ শেষে গণিত নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুর রহমানকে বাস থেকে নামিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে চায়ের দোকানের পাশে নিয়ে আসে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

 পরে তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে ছাত্রলীগ কর্মী মীর (নৃবিজ্ঞান), বিদ্যুৎ (পদার্থ), সাদ (নৃবিজ্ঞান) ও এআইএস বিভাগের দ্বীন ইসলাম লিখন, শাহাদাৎ হোসেন সৌরভ, মাসুদসহ আরও অনেকে। এ সময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেনসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। আহত আবদুর রহমানকে অটোরিকশা করে পাঠিয়ে দেন প্রক্টর। এ ঘটনার ঠিক পরপরই কোরআনে হাফেজ ও ইংরেজি বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলামকে সামাজিক বন বিভাগে শিবির বলে মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। তবে যাদের মারা হয়েছে তারা কেউই ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে সাংবাদিকদের জানান ভুক্তভোগীরা।

কেন তাদের মারা হলো এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিবির নামধারী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাশকতা করবে তাদের বিষয়ে ছাত্রলীগ কঠোর অবস্থান নেবে।’

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মাদ কামাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে ‘থাপড়িয়ে’ দাঁত ফেলে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি ওই সাংবাদিককে ধমকিয়ে বলেন, ‘আমার বক্তব্যের বাইরে নিউজ লিখবা না।’

সর্বশেষ খবর