রবিবার, ১০ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

৩৫ কিলোমিটার সড়কই খানাখন্দ

প্রায় আটকে যাচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি বিড়ম্বনায় চালক ও যাত্রীরা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

৩৫ কিলোমিটার সড়কই খানাখন্দ

খুলনা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শরীয়তপুর অংশের ৩৫ কিলোমিটার রাস্তা এরকমই খানাখন্দে ভরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

খুলনা-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের শরীয়তপুর অংশের ৩৫ কিলোমিটারই ছোটবড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে ‘মৃত্যুফাদে’ পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ‘অপরিকল্পিতভাবে’ এ আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্মাণ করায় বেড়েছে দুর্ঘটনা। জানা যায়, ৩৫ কিলোমিটার সড়কে যানবাহন চালাতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন চালকরা। গর্তে প্রায়ই আটকে যাচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি। এ কারণে চলতি মাসের শুরুর দিকে কয়েকদিন এ রুটে যান চলাচল বন্ধ ছিল। জনদুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে ঈদের আগেই সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করার আশ্বাস দিয়েছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এ রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রামের সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও বেনাপোল স্থলবন্দরের দূরত্ব কমাতে বিকল্প সড়ক হিসেবে অধিকাংশ যানবাহন এই সড়কটি ব্যবহার করে। কিন্তু সড়কটিতে যানবাহন চালাতে গিয়ে নিয়মিত বিড়ম্বনায় পড়তে হয় চালকদের। আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন পরিবহন মালিকরা। খুলনা-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের শরীয়তপুর অংশের আঙ্গারিয়া থেকে আলুরবাজার ফেরিঘাট পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার। ২০১৪ সালের নভেম্বরে ১৮ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি মেরামত করা হয়। বছর ঘুরতেই সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত। ২০১৬ সালের জুনে তিন কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি আবার মেরামত করা হয়। এর স্থায়িত্ব হয় মাত্র তিন মাস। এর পরই ভরে যায় খানাখন্দে। এখন সড়কে কাঁচা মাটি ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না। ঈদের আগেই রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়েছেন যাত্রী-স্থানীয়রা। আগের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।

সর্বশেষ খবর