বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

এক্সরে-প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ ৫ বছর, আছে ডাক্তার সংকট

ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ফরিদপুর প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাটায় সকাল ১০টা বেজে ১৭ মিনিট। প্রচুর রোগী ও স্বজনের ভিড় হাসপাতাল চত্বরে। সময় যত বাড়ছে তত বাড়ছে রোগী। ডাক্তার দেখাতে না পেরে ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা। এর মধ্যে দেখা গেল দালালের দৌরাত্ম্য। তারা নানা কৌশলে রোগী নিয়ে যাচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন চিত্র প্রতিদিনের।

স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালটিতে সেবা নেই বললেই চলে। বছরের পর বছর এমন অবস্থা চললেও দেখার কেউ নেই। বিভিন্ন সময় সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার মেলেনি। জানা গেল ৫০ শয্যার ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে চিকিৎসক স্বল্পতাসহ নানা সংকট। এক্স-রে মেশিন ও প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ পাঁচ বছর ধরে। চর্ম ও যৌন, মেডিসিন, ইএনটি, অর্থোপেডিক্স, চক্ষু, কার্ডিও, এনেসথেসিয়া, ইমার্জেন্সি, ইনডোর, এএমসিসহ বিভিন্ন পদ থাকলেও বাস্তবে সেখানে লোকবল নেই। হাসপাতালটিতে ২৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা কিন্তু বর্তমানে আছেন মাত্র চারজন। কয়েকজন খাতা-কলমে থাকলেও নানা উপায়ে অন্যত্র ডেপুটেশনে রয়েছেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, জেলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ভাঙ্গা। এ উপজেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য এ হাসপাতালটিতে নেই কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতি। চিকিৎসকের বেশির ভাগ পদই খালি। সেবা নিতে আসা রোগীরা প্রতারিত হয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছে। হাসপাতাল গেট সংলগ্ন এক দোকান মালিক জানান, হাসপাতালের ওষুধ রোগীদের দেওয়া হয় না। ওষুধ পান প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তাদের স্বজনরা। অনেক সময় বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রিও করা হয়। ভাঙ্গা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল হাসেম শেখ বলেন, হাসপাতালটিতে চিকিৎসক সংকট প্রকট। এ এলাকার মহাসড়কে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে এখানে প্রচুর রোগী আসে। প্রতিদিন দু-তিনশ রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চারজন চিকিৎসকের মধ্যে দিনে দুজন আর রাতে দুজন ডিউটি করতে গিয়ে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

সর্বশেষ খবর