মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

শীতে নাকাল লালমনিরহাটবাসী

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

শীতে নাকাল লালমনিরহাটবাসী

দিনাজপুরে হাসপাতালে শীতজনিত রোগী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নতুন বছরের শুরুতেই উত্তরের জেলাগুলোতে তৃতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দিনভর বইছে হিমেল হাওয়া। প্রচ- ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। শীতার্ত মানুষ যেতে পারছেন না কাজে। বিশেষ করে ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়ছেন লালমনিরহাটের ৬৩ চরের মানুষ। সোমবার সারা দিন এ জেলায় সূর্যের দেখা মিলেনি। শীতের প্রকোপে ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়াসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তিস্তাপারের বেশিরভাগ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫৩ জন শিশু শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কাসেম আলী বলেন, তৃতীয় দফায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, তৃতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য আবারও শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। দিনাজপুরে শীতজনিত রোগের প্রকোপ : দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা ও মেঘলা আকাশে গত তিন দিন ধরে দেখা মেলেনি সূর্যের। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ। একই সঙ্গে সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ১৫-২০ জন শীতজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। বহির্বিভাগেও থাকে রোগীর লাইন। দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, শীতে মায়েদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু পর পর স্যালাইন খাওয়াতে হবে। শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি কুয়াশার মধ্যে ঘরের বাইরে বের করা যাবে না।

সর্বশেষ খবর