ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে একটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলা হয়। পুনরায় হামলার আতঙ্কে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। হামলার ঘটনায় জড়িতদের পুলিশ আটক করতে না পারায় উদ্বিগ্ন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এলাকাবাসী ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, চরভদ্রাসন উপজেলার চর সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতা চলাকালে কিছু বখাটে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। এ নিয়ে শিক্ষক আবুল বাশার ও রাশেদুজ্জামানের সঙ্গে বখাটেদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা শিক্ষক আবুল বাশারকে মারধর করে। অন্য শিক্ষক ও স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে তখন বখাটেরা পালিয়ে যায়। ওই দিন বিকালে সংঘবদ্ধ হয়ে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। শিক্ষকদের বাঁচাতে গেলে তারা স্থানীয় শেখ কামরুল ও আনছার আলী ওরফে আনছুকে কুপিয়ে জখম করে। ভাঙচুর করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মঞ্চ। পরে পিস্তল উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন প্রধান শিক্ষক ১৭ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে চরভদ্রাসন থানায় মামলা করেন। হামলার পর শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুনরায় হামলার ভয়ে স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েকজন অভিভাবক জানান, হামলাকারীরা প্রভাবশালী। তারা যে কোনো সময় আবারও স্কুলে হামলা করতে পারে। সেজন্য সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছি না। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল বাশার বলেন, হামলাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারে কমে গেছে। চরভদ্রাসন থানার ওসি জানান, আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে। আমরা স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। যাতে শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে স্কুলে আসতে পারে।