শনিবার, ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

‘মনগড়া’ বিদ্যুৎ বিলের খড়গ!

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

করোনাকালে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ‘মনগড়া’ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গ্রাহক অসন্তোষ বাড়ছে। বিলে কেন গরমিল হচ্ছে? আর পরবর্তীতে কিভাবে তা সমন্বয় করা হবে? এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই গ্রাহদের। তাদের অভিযোগ ‘করোনা’র সুযোগে মিটার না দেখেই অনুমান নির্ভর ‘ভৌতিক’ বিল দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এতে দুঃসময়েও গ্রাহদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত চার্জ। সম্প্রতি দ্রুত এসব বিল পরিশোধ করতে মাইকিং করছেন তারা। এতে সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঝামেলা এড়াতে প্রতিদিনই অফিসে ভিড় করছেন শতাধিক গ্রাহক। উপেক্ষিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। সূত্র জানায়, করোনার অজুহাতে এপ্রিল মাসের অনুমান নির্ভর বিদ্যুৎ বসিরে গ্রাহদের ভাউচার সরবরাহ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিস। মিটারের সঙ্গে রিডিং মিল না থাকায়, বিল নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। বিলের ভাউচারে লিখে দেওয়া হয় ‘আপনার অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনার গত বছরের একই সময় একই মাসের বিদ্যুৎ ব্যবহারের ভিত্তিতে গড় বিল প্রণয়ন করা হল। কোনো অসঙ্গতি থাকলে পরবর্তীতে তা সংশোধন/সমন্বয় করা হবে।’ গ্রাহকদের অভিযোগ, করোনার অজুহাত দেখিয়ে মিটার রিডিং না নিলেও ভাউচার ঠিকই তারা গ্রাহকদের বাসা-বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। বিলের বিশেষ নির্দেশনানুযায়ী অসঙ্গতি নিয়ে কেউ অফিসে গেলে, আগে ওই বিল পরিশোধ করতে তাগদা দেন তারা। নতুবা সংযোগ বিচ্ছিন্নেরও দেন হুঁশিয়ারি। করোনার প্রাদুর্ভাবে অর্থনৈতিক সংকট থাকলেও তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। পল্লী বিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম সামিউল কবির বলেন, করোনায় অনেক এলাকা লকডাউন ও ব্যারিকেড থাকার কারণে গত মাসে (এপ্রিল ২০২০) মিটার রিডিং নেওয়া সম্ভব হয়নি। সারা দেশেই এ অনুপাতে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করা হয়েছে। এ মাস থেকে আমরা রিডিং নিচ্ছি। এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তাছাড়া বিলের অসঙ্গতি নিয়ে কেউ অফিসে এলে সংশোধন করে দেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর