বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

সেতাবগঞ্জে অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

সেতাবগঞ্জে অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ

সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষকরা বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে ও অধ্যক্ষের দুর্নীতির প্রতিবাদে অধ্যক্ষকে তার অফিসকক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে বোচাগঞ্জ পুলিশ এসে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করেন।  গতকাল বেলা ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মনজুর আলমকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কলেজের শিক্ষকরা। জানা যায়, সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অভ্যন্তরীণ অডিটে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন গত বছরের ৮ ডিসেম্বর কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে অনার্স বিভাগের ৩৬ জন শিক্ষকসহ ৭০জন শিক্ষক বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনা আদায়ের দাবিতে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন। এ ব্যাপারে অনার্স ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, অধ্যক্ষ কলেজের প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তিনি কলেজের ফান্ড শূন্য করে অনার্স বিভাগের শিক্ষকদের বকেয়া বেতন দিতে গড়িমসি করছেন। ফলে তার অপসারণসহ তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মনজুর আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। আমার অভ্যন্তরীণ অডিটে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি পুনঃতদন্তের জন্য কলেজের সভাপতি বরাবরে আবেদন করেছি। এ ছাড়া অনার্সের শিক্ষকদের ২/১ মাসের বেতনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আমি যদি কলেজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে থাকি তাহলে আমি পদত্যাগ করব।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি উক্ত অধ্যক্ষ মনজুর আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৭টি অভিযোগের ভিত্তিতে চলমান পুনঃতদন্তে জেলা সমন্বিত কার্যালয় দিনাজপুর দুদকের উপপরিচালক এ এইচ আশিকুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমানসহ একটি তদন্ত দল সেতাবগঞ্জ কলেজে আসেন। তদন্তকালে কলেজের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির সাতজন সদস্যকে গত ১০ জানুয়ারি দুদকের জেলা কার্যালয় তলব করেন। এখানে অডিট কমিটি লিখিতভাবে উপপরিচালকের নিকট উক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ দালিলিক প্রমাণাদি দাখিল করেন।

সর্বশেষ খবর