বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন প্লান্ট

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার এই তিন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্ট চালু হওয়ায় তীব্রমাত্রায় অক্সিজেন সংকটে পড়া রোগীরা বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত জটিল রোগীদের সেবা দেওয়া সহজ হবে। 

হাসপাতালগুলোতে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজ কার্যালয় থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ। এ ছাড়া এই অনুষ্ঠানে নিজ কার্যালয় থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া ও সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ। এ ছাড়া পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হামিদ রেজা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মন্জুর মোরশেদ চৌধুরী, নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলার ইউএনও জয়া মারীয়া পেরোরা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাপাহারের ইউএনও কল্যাণ চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদগুলোর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির তহবিল থেকে হাসপাতালগুলোতে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হয়। প্রতিটি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনে খরচ হয়েছে ২০ লাখ টাকা করে। ৩৬টি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার এক সঙ্গে যুক্ত করে প্রত্যেকটি প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেক সিলিন্ডারে ৬ দশমিক ৮ ঘনমিটার অক্সিজেন গ্যাস রয়েছে। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্ট থেকে প্রতিটি হাসপাতালে এক সঙ্গে ১৮ জন করে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া যাবে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু হওয়ায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন হওয়ায় করোনা আক্রান্ত জটিল রোগীদের চিকিৎসাসেবা এখন অনেকটা সহজ হবে। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার কমে আসবে বলে চিকিৎসকরা আশা করছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার প্রতি বছর উপজেলা পরিষদসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে স্বাস্থ্য খাতের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। কিন্তু এসব টাকা প্রায় সময় স্বাস্থ্য খাতে ব্যবহার না করে ব্রিজ, কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করে থাকে। বৈশ্বিক করোনা সংকটের এই সময়ে মানুষের জীবন রক্ষার্থে সেই টাকা হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হলে সেটা দোষের কিছু নয় বরং এটা একটি মহৎ উদ্যোগ।

সর্বশেষ খবর