সেমাই ঈদের দিনের একটি প্রচলিত খাবার। তাই কুমিল্লার বিসিক সেমাই কারখানার শ্রমিকরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিসিকের পাঁচ কারখানা কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল, মেট্রো কনফেকশনারি, খন্দকার ফুড, রিয়াজ ফ্লাওয়ার মিল ও মক্কা কনজুমার অ্যান্ড ফুড প্রোডাকস সেমাই উৎপাদন করে। বিসিক ছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় সেমাই উৎপাদন হয়। তবে সে কারখানাগুলোর নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি। বাংলা ও লাচ্ছা নামে দুই ধরনের সেমাই কুমিল্লায় উৎপাদন হয়। কুমিল্লা বিসিকের একটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায় মেশিনে বাংলা সেমাই উৎপাদন হচ্ছে। সে সেমাই ছাদে ঝুলিয়ে শুকানো হচ্ছে। শুকনো সেমাই প্যাকেটে ভরছেন শ্রমিকরা। লাচ্ছা সেমাই তেলে ভাজা হয়। ভাজা সেমাই শ্রমিকরা প্যাকেটবদ্ধ করেন। ঈদের বাকি ১২-১৩ দিন। তাই দ্রুত সেমাই গাড়িতে করে বাজারে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের ব্যবস্থাপক সৈয়দ গোলাম কাদের বলেন, ‘আমরা ১০ বছর ধরে মানসম্মত সেমাই তৈরি করি। ঈদের মৌসুমে বেশি সেমাই উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সেমাইয়ের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তা কয়েক মাস বিক্রি করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়ে। বাংলা সেমাই বেশি বিক্রি হয় চরাঞ্চলে। তবে করোনার কারণে গত দুই বছর সেমাইয়ের চাহিদা কম। তাই উৎপাদনও কম করা হচ্ছে।’ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন-বিসিক, কুমিল্লার ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত সেমাই মানসম্মত। সেমাই উৎপাদনে যেন সঠিক মান রক্ষা করা হয় সেজন্য আমরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করি।’