সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

সৈয়দপুরে ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতা কারিগরদের

নীলফামারী প্রতিনিধি

সৈয়দপুরে ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতা কারিগরদের

বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই ব্যস্ততা বেড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ছাতা কারিগরদের। কে কার আগে ছাতা মেরামত করে নেবেন এমন প্রতিযোগিতা চলছে। বর্ষাকালে চলাচলের অন্যতম্য অনুসঙ্গ ছাতা। নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে ফুটপাথে ছাতার কারিগর রয়েছেন প্রায় শ-খানেক। এরা অন্যের দোকানের সামনে নামমাত্র ভাড়ায় বসে কাজ করেন। দিন শেষে ঘরে ফিরেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ কারিগররা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে ছাতা মেরামত করে থাকেন। ছাতা গ্রীষ্মের সময়ও দরকার হয়। তবে বর্ষায় এর প্রয়োজন বেড়ে যায়। সারা বছর ঘরে তুলে রাখা ছাতা মেরামত করতে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে গারিগরের কাছে নিয়ে আসেন ব্যবহারকারীরা। বহু আগে কাঠের হাতলে ছাতা থাকলেও বর্তমানে ছাতার হাতল ও কাপড়ে এসেছে বৈচিত্র্য। তবে বৈচিত্র্য যতই হোক বৃষ্টির মধ্যে চলার পথে ছাতা কোনোভাবে উল্টে গেলে, কাপড় ছিঁড়লে বা সেলাই খুলে গেলে উপায় নেই। ফলে বর্ষা মৌসুমে যেমন ছাতার ব্যবহার বাড়ে, তেমনি কারিগরদের কাজ ও রেটও বাড়ে। শহরের হাওয়ালপাড়ার ছাতার কারিগর নাসিম আহমেদ বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ছাতার কাপড়, হাতল, স্প্রিং, কামান এসবও কিনতে হচ্ছে চড়াদামে।

এ ছাড়া সারা বছর বসে থাকতে হয়। এই সময়টায় (বর্ষাকাল) কিছু কাজ হয়। পৈতৃক সূত্রে তারা এ পেশায় জড়িয়েছেন বলেও জানান নাসিম। যানা যায়, এখানকার ছাতার কারিগররা প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন।

সর্বশেষ খবর