শিরোনাম
বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

সংক্ষিপ্ত

রিমান্ডে আসামিকে যৌন নির্যাতন

ফেঁসে যাচ্ছেন সহকারী পুলিশ  সুপার ও নারী কনস্টেবল

বরিশালের উজিরপুর থানায় রিমান্ডে নারী আসামিকে যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় ওসি ও পরিদর্শক (তদন্ত) ছাড়াও ফেঁসে যাচ্ছেন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবং নারী কনস্টেবলসহ তিনজন। গত সোমবার উজিরপুর থানায় নির্যাতিতা নারীর মামলায় প্রত্যাহার হওয়া ওসি জিয়াউল আহসান এবং পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল হোসেন, সার্কেল পদ (নাম বিহীন) উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। জানা গেছে, উজিরপুর সার্কেলে কর্মরত রয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার আবু জাফর মো. রহমত উল্লাহ। তিনি ছাড়াও ওই নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে থানার নারী কনস্টেবল মোসাম্মৎ নাজমার বিরুদ্ধে। অপর দুজনের চেহারা চিনলেও নির্যাতিতা তাদের নাম জানেন না। মূলত সার্কেল শনাক্তকরণ এবং নারীসহ তিন কনস্টেবলকে চিহ্নিত করতেই আদালতের নির্দেশে গত রবিবার একজন পুলিশ সুপারকে প্রধান করে দুই সদস্যের কমিটি করেন রেঞ্জ ডিআইজি। প্রতিবেদন অনুযায়ী অপর চারজনের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছেন ডিআইজি। এদিকে গত সোমবার ওসি এবং পরিদর্শক (তদন্ত) প্রত্যাহারের পর ওই থানায় মমিন উদ্দিন নামে একজন  পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।                -নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বিয়ের তিন দিন আগে দুর্বৃত্তের  অ্যাসিডে ঝলসে গেলেন তরুণী

কক্সবাজারে বিয়ের তিন দিন আগে এক তরুণীর মুখ অ্যাসিড ছুড়ে ঝলসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটা এলাকায় সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরুণীর নাম তৈয়বা বেগম (২২)। তিনি মাঝিরকাটা এলাকার মোজাফফর আহমদের মেয়ে। এ ঘটনায় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

তরুণীর মা নূর আয়েশা জানান, সোমবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে আমার সঙ্গে তৈয়বা ঘর থেকে বের হয়। এ সময় ওতপেতে থাকা দুই ব্যক্তি তৈয়বাকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়ে। মেয়ের চিৎকারে স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এতে তৈয়বার মুখমন্ডলের বাম পাশ ঝলছে যায়। আঘাতের কারণে বাম চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। পুলিশ জানায়, ওই তরুণী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।         -প্রতিদিন ডেস্ক

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ ভাঙচুর লুট, আহত ৫০

রূপগঞ্জে মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুট হয়েছে। আহত হয়েছেন উভয় গ্রুপের ৫০ জন। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র (বস্তি) এলাকায় গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৭২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তলসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ছয়জন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, ‘চনপাড়া একটি বৃহত্তর বস্তি। এখানে ঝামেলা বা উত্তেজনা দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। আমরা কয়েক দিন ধরেই দুই গ্রুপের মধ্যে চলা উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আজ (মঙ্গলবার) সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছি। ইতিমধ্যে ছয়জন অস্ত্রধারী গ্রেফতার, পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’-রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

ছাতকে পৌর কাউন্সিলরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বন বিভাগের জমি থেকে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ইনচার্জসহ নৌপুলিশের ছয় সদস্য আহত হওয়ায় এক পৌর কাউন্সিলরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল ছাতক থানায় মামলাটি করেন আহত ছাতক নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান। ছাতক পৌরসভার কাউন্সিলর তাপস চৌধুরী, ব্যবসায়ী হাজী বুলবুল, সাদমান, শাওন প্রমুখ আসামি বলে পুলিশসূত্রে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় ছাতকের চেলা নদীতে বন বিভাগের সরকারি জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছিল কয়েক শ লোক। পরে সেখানে গিয়ে চারটি নৌকা জব্দ করে নৌপুলিশ। ফেরার পথে পৌর কাউন্সিলর তাপসের নির্দেশে এবং ব্যবসায়ী হাজী বুলবুল ও আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ৪৫-৫০ জনের সশস্ত্র একটি দল নৌকাযোগে এসে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা দেশি অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে বেধড়ক পিটিয়ে পানিতে ফেলে দেয় এবং ১১টি মোবাইল ফোন, ৪টি হাতকড়া, জব্দ মালামাল ও ফাইলপত্র লুটে নেয়। স্থানীয়রা আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে পাঠান।                 -সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সর্বশেষ খবর