সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

থামছে না তিস্তার ভাঙন

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

থামছে না তিস্তার ভাঙন

কোনোভাবেই থামছে না তিস্তা নদীর ভাঙন। এই নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে কাঁদছে তিস্তাপাড়ের মানুষ। প্রতিদিনই সহায় সম্বল হারানো মানুষের কান্নায় তিস্তা অববাহিকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিজ দিয়ে প্রভাবিত হলেও দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। নিম্নাঞ্চল থেকে পানি সরে না যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। গতকাল দুপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, গত তিন দিনে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে ভাঙনরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। ফলে তিস্তা নদীর ভাটিতে থাকা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়। জানা গেছে ভারতের সিকিম উপত্যকা থেকে সৃষ্ট তিস্তা নদী ভারতে প্রবাহিত হয়ে লালমনিরহাট জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। উজানে ভারতের অংশে ভারত সরকার বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তা নদী একতরফাভাবে ব্যবহার করছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ অংশে কোনো পানি থাকে না। মরুভূমিতে পরিণত হয় তিস্তা আবার বর্ষাকালে অতি বর্ষণের ফলে ভারতের অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ায় বাংলাদেশ অংশে ভয়াবহ বন্যা আর তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারি ও সদর উপজেলাসহ নীলফামারী রংপুর কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে গিয়ে পরদিন শুক্রবার ভোরে বিপদসীমা অতিক্রম করে। সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা তিনটায় পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার পানি কিছুটা কম থাকলেও গতকাল দুপুর থেকে পানি আবারও বাড়ছে শুরু করেছে। দুপুরের পর থেকেই পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ব্যারাজ রক্ষার্থে সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। ফলে তিস্তা নদীর ডান তীরে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর