বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

সেই পয়াতের জলায় আউশ ফসলের হাসি

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

সেই পয়াতের জলায় আউশ ফসলের হাসি

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সেই পয়াতের জলায় ২০ বছর পর এবার আউশ ধানের সোনালি হাসি দেখা গেছে। চলতি বছরের প্রথম দিকে ওই এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে খাল খনন করা। এতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। পয়াতের জলার মাঠে লাগানো বিনা-১৯ ধান সম্প্রসারণ উপলক্ষে মঙ্গলবার স্থানীয় ফকির বাজারে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবসের আয়োজন ও ফসলের মাঠ পরিদর্শন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিনা কুমিল্লা উপ-কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর, বাকশীমুল, ষোলনল ও রাজাপুর ইউনিয়নের একটি বিশাল অংশ নিয়ে পয়াতের জলা। জলাবদ্ধতা সেই এলাকার কৃষি ও কৃষকের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই কারণে পয়াতের জলার ১২ হাজার একর আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যার প্রত্যক্ষ ভুক্তভোগী ৫০০০ এর অধিক কৃষক পরিবার। পয়াতের জলার কৃষকরা রোপা-আমন ধান লাগাতে পারেন না। আবার কিছু কৃষক বোরো ধান আবাদ করলেও আগাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তা ঘরে তুলতে পারেন না। চলতি বছরের শুরুতে জলার চারপাশের খালের ২৫ কি.মি. খাল পুনঃখনন কাজ করা হয়।

 ১৮ কি.মি. এর বেশি খাল পুনঃখননের কাজ শেষ হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাঠে সোনালি ফসল বাতাসে দোল খাচ্ছে। কোথাও কৃষক ধান কাটছেন। মাঠে ধানে মিষ্টি গন্ধ বাতাসে ভাসছে। খালে স্থানীয়রা মাছ ধরছেন। হরিপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মাস্টার বলেন, খাল খননের ফলে মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। জমিতে ফসল হচ্ছে। খালে মাছ ধরতে পারছে। খালের পাড়ে চলাচলের পথ হয়েছে। সেখানে বিএডিসি কাঠ ও ফল গাছ লাগিয়েছে। তা পুষ্টি পূরণের সঙ্গে কৃষককে ছায়া দিবে। বুড়িচং সদর দক্ষিণপাড়া এলাকার কৃষক মমিন হোসেন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে আমরা আগে এক ফসলও ঠিকমতো করতে পারতাম না। খাল খননের কারণে জলাবদ্ধতা দূর হয়েছে। এবার আউশ ফসল করেছি।

সর্বশেষ খবর