জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পুলিশের ওপর জেএমবির সদস্যদের প্রথম সশস্ত্র হামলার ১৮ বছরেও বিচার কাজ শুরু হয়নি। মামলায় ৫৯ আসামির মধ্যে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে ৮ জঙ্গি আটক থাকলেও শীর্ষ ১৩ জঙ্গি জামিন নিয়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচার কাজ শুরু হচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন কারাগারে অন্য মামলায় আটক থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের মামলার তারিখে হাজির করতে পারছে না। ফলে ওই মামলায় জামিনে থাকা স্থানীয় ৩৮ জন আসামি ১৮ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। ওই ঘটনায় করা তিন মামলায় ২০০৮ ও ২০১০ সালে ৬১ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। যার মধ্যে সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে একজনকে অব্যাহতি ও অন্য এক আসামি মৃত্যুবরণ করায় এখন ওই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৯ জন। জেলা আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর থেকে হাজির না হওয়া জঙ্গিরা হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার আনোয়ার হোসেন ওরফে খোকা, তারিকুল ইসলাম ওরফে তারেক ওরফে শহীদ ওরফে ভাগ্নে শহীদ, রংপুরের জয়নাল আবেদীন, গাইবান্ধার মামুনুর রশিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছরোয়ার জাহান, শহিদুল ইসলাম ওরফে রানা ও তুফান ওরফে আবুল কাশেম, রাজশাহীর শহীদুল্লাহ ফারুক ওরফে সেলিন ও আদনান ছামি ওরফে আম্বর ওরফে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে মোখলেছার, নওগাঁর সাইফুল ইসলাম ওরফে খোকন ও আব্দুল কুদ্দুস, বগুড়ার আরিফুর রহমান ওরফে আসাদুল্লাহ এবং নারায়ণগঞ্জের সালাউদ্দিন ওরফে ছালেহীন। জেলা কারাগারে গ্রেফতার থাকা জঙ্গিরা হলেন, জয়পুরহাটের মন্তেজার রহমান, সালাউদ্দিন, আজিজুল বারী ও গোলাম মোস্তফা, দিনাজপুরের আনোয়ার সাদাত, বগুড়ার মাইনুল ইসলাম ওরফে রাঙ্গা ওরফে মারুফ ও আব্দুর রাজ্জাক এবং টাঙ্গাইলের ইউনুস আলী। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে জেএমবি’র (জঙ্গি) আঞ্চলিক নেতা ক্ষেতলালের উত্তর মহেশপুরে মন্তেজার রহমানের বাড়িতে গোপন বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত হন দেশের শীর্ষ জঙ্গি নেতারা। খবর পেয়ে জয়পুরহাট সদর ও ক্ষেতলাল থানার পুলিশ উত্তর মহেশপুর গ্রামের জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমানের বাড়ি ঘেরাও করে। টের পেয়ে রাত প্রায় আড়াইটার দিকে তারা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধ হয়। এতে জয়পুরহাট সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল শফিসহ ৬ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। জঙ্গিরা পুলিশের তিনটি শর্ট গান একটি ম্যাগাজিন ও ওয়াকিটকি লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস আই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ আগস্ট ক্ষেতলাল থানায় ৩৩ জনসহ অজ্ঞাত ৭০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রাতেই পুলিশ ২০ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। ঘটনার দুদিন পর ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা থেকে পুলিশ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করলেও লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর জোনের সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক জালাল উদ্দীন তদন্ত করে ২০০৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ৬১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
শিরোনাম
- নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
- ‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
- শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
- বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
- তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
- মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
- শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
- চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
- তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
১৮ বছরেও শুরু হয়নি পুলিশের ওপর জেএমবির হামলার বিচার
শামীম কাদির, জয়পুরহাট
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর