শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
মমেকের শিশু বিভাগ

জনবল শয্যা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

জনবল শয্যা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

‘নবজাতক ওয়ার্ডে ৫০ শয্যার বিপরীতে ১৯৭ জন। নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ১০ বেডে ৫৫ জন। স্পেশাল কেয়ার নিওনেটাল ইউনিটে ৪০ শয্যা থাকলেও ১৪২ শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গত মঙ্গলবার শিশু বিভাগের এমন চিত্র তুলে ধরে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এভাবে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে সীমিত জনবল নিয়ে শয্যা সংখ্যার কয়েকগুণ রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে সাধ্যের সবটুকু দিয়ে।’ সরেজমিন দেখা যায়, শিশু বিভাগে তিনটি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে নবজাতক ওয়ার্ডের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। এ ওয়ার্ডে ৫০ শয্যার বিপরীতে রোগী দুই থেকে আড়াই শ। অথচ ৫০ শয্যার লোকবল নিয়ে চাপ সামলাচ্ছেন ওয়ার্ড সংশ্লিষ্টরা। জনবলের সংকট সামাল দেওয়া গেলেও সচেতন অভিভাবকদের রয়েছে উৎকণ্ঠা। নবজাতক ওয়ার্ডের সামনে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, এক বিছানায় চার থেকে পাঁচ জন শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে বাড়ছে রোগ সংক্রমণের হার ও ঝুঁকি। পর্যাপ্ত স্থান নেই শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর। এমন অবস্থায় উদ্বেগ জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। জানা যায়, ২০০৮ সালে শিশু ওয়ার্ডে একটি কক্ষে পথচলা শুরু করে নবজাতক ওয়ার্ড। অতিরিক্ত রোগীর চাপে কয়েক দিন পরই ৫০ শয্যা নিয়ে নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রটি চালু হয় মমেক হাসপাতালে।

 বর্তমানে প্রতিদিন ময়মনসিংহ ও আশপাশের ১০ জেলা থেকে ওই ওয়ার্ডে নবজাতক ভর্তি থাকেন ২০০-২৫০ জন। সংকটের কারণে প্রতি শয্যায় পাঁচ শিশুকে রাখতে হচ্ছে। ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম জানান, অনেক সময়ই বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ এক শিশু থেকে আরেক শিশুর মধ্যে ছড়ায়। তখন আমাদের যেমন ঝামেলা পোহাতে হয়, অভিভাবকরাও থাকেন উৎকণ্ঠায়। তিনি আরও জানান, শত শত রোগী থাকলেও সর্বসাকুল্যে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র নয়জন। ওয়ার্ডবয়, আয়া সংখ্যা আটজন। সেবিকার সংখ্যা ৩০ জন হলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। শিশু ওয়ার্ডের আরেক সহকারী অধ্যাপক ডা. বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে শিশু বিভাগের আরেকটি ইউনিট রয়েছে। এখানেও জনবল সংকটে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। এ ছাড়া বর্তমানে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসকও নেই।

সর্বশেষ খবর