ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বগুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এবং যুবলীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শিমুল সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের বারুইহুদা গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ৪০ জন আহত হন। আহতদের রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, শিমুল সমর্থিত নাসিরের নেতৃত্বে এ কাজ হয়েছে।
শতাধিক লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বারুইহুদা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে ৩০টি ঘর ভাঙচুর করে এবং ঘরের ভিতরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ ভাঙচুর করে ও বাক্সে থাকা কাপড়, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার এমনকি গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে শফিকুল ইসলাম শিমুল অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের গ্রুপের বারিকের নেতৃত্বে বারুইহুদা স্কুলে বসে থাকার আমার লোকজনদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। শৈলকুপা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন করে সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান।
