বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সরাইলে বোরো বীজতলা থেকে চারা তুলে এক ফসলি জমিতে রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। কনকনে শীত উপেক্ষা করে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ ও বীজ তুলছেন তারা। কেউ জমিতে হাল দিচ্ছেন, কেউ তৈরি জমি ভিজিয়ে রাখছেন সেচ দিয়ে। সব কাজ শেষ করে অনেকে বীজতলা থেকে চারা তুলে রোপণ করছেন খেতে। চারা রোপণসহ প্রতিটি কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করলেও শান্তি নেই কৃষকের মনে। হতাশা সবার মধ্যে। কারণ ধানের ন্যায্য দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে। মঙ্গলবার উপজেলার বরইচারা, রাণীদিয়া, অরুয়াইল, কাকরিয়া, রাজাপুর, দুবাজাইল, পাকশিমুল, ফতেপুর, পরমানন্দপুর, ভুইশ্বরসহ আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখা যায় ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত, বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা তুলে রোপণ করা হচ্ছে। আবার জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত অনেকে। পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের ধান চাষি লিয়াকত আলী বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ায় ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষের খরচ বাড়ছে। কৃষি কাজই আমাদের পেশা। অন্য কাজ জানি না। কয়েক বছর ধরে লোকসান গুনছি, তবু আশায় বুক বেঁধে বোরো আবাদ করছি।’ একই এলাকার কৃষক হুমায়ুন বলেন, ‘আমাদের এলাকা কৃষিনির্ভর। এ অঞ্চলের প্রায় সব কৃষক বর্গাচাষি। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অন্যের জমি চাষ করেন অনেকে।’

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ইতিমধ্যে ৬ হাজার ৯৬০ জন কৃষকের মধ্যে প্রণোদনার সার, কীটনাশক, বীজসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেছে। চলতি বছর সরাইলে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোয় সরাইলে বোরোর ব্যাপক আবাদ হয়েছে। কারণ এ এলাকা উঁচু। জোয়ারের পানিতে বোরোর তেমন ক্ষতি হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া অনুকূল। বোরোর বাম্পার ফলন আশা করছি। তবে এ বছর তেলের দাম বেশি হওয়ায় চাষাবাদের খরচ কিছুটা বাড়বে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর