রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নালিতাবাড়ীতে বিটিসিএল গ্রাহকরা সেবাবঞ্চিত

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

নালিতাবাড়ীতে বিটিসিএল গ্রাহকরা সেবাবঞ্চিত

দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলছে নালিতাবাড়ী উপজেলা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) অফিসে। নানা সমস্যা ও সংকটে জর্জরিত এ অফিসে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। উপজেলা বিটিসিএল অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে এ উপজেলায় বিটিসিএলকে ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়। ৫১২টি টেলিফোন সংযোগের সক্ষমতা সম্পন্ন এ অফিস প্রথমে ৩৪৫টি লাইন সংযোগ দেয়। ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত ১৩৭টি লাইন চালু ছিল। জনবল সংকট ও ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এসব সংযোগের সব কটি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে আছে অনেক দিন ধরে। কয়েকজন গ্রাহক জানান, বহুবার জানানোর পরও টেলিফোন সংযোগ মেরামত করা হচ্ছে না। সরেজমিন জানা যায়, একজন ইনচার্জ ছাড়া এ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী আর কেউ নেই। জরাজীর্ণ দোতলা অফিস ভবনে ইনচার্জ আশপাশের গরিব স্কুল শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন। চার বছরের বেশি সময় ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে উপজেলার পৌর শহরের টেলিযোগাযোগও। অফিসের দোতলায় ওঠার সিঁড়ির নিচে ভাঙা ইট ও আবর্জনা স্তূপ হয়ে পড়ে আছে অনেক দিন ধরে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নির্মাণের পর থেকে একবারও রং ও চুনকাম করতে দেখা যায়নি ভবনটিতে। যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। অফিসের ইনচার্জ সজীব আহমেদ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে আছি। অফিসে আর কোনো লোক না থাকায় আমিই সব দেখাশোনা করছি। মাটির নিচ দিয়ে ছড়ানো সংযোগের তার রাস্তা মেরামত ও পৌরসভার ড্রেন নির্মাণের সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার স্থান শনাক্ত করতে সময় লেগে যায়।

নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, আমি এ উপজেলায় যোগদানের পর প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করে মাত্র একদিনের জন্য কানেকশন পেয়েছিলাম। আমাদের অফিসের টেলিফোনটিও অনেক দিন ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। বিটিসিএল অফিস থেকেও কোনো খোঁজ নেওয়া হয় না। তাদের ফোন দিলেও সাড়া পাওয়া যায় না। শুধু মাসিক বিল চায়। বিটিসিএলের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী বিল্লাল হোসেন বলেন, নালিতাবাড়ীর বিটিসিএলের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিকল টেলিফোন সংযোগ সচল করতে ও বিচ্ছিন্ন সংযোগ মেরামত কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর