শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

পুড়ছে গাছ, হুমকিতে বনাঞ্চল

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পুড়ছে গাছ, হুমকিতে বনাঞ্চল

সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আগুনে পুড়ে যাওয়া গাছ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধ্বংস হতে বসেছে কুয়াকাটা সৈকতের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিশাল অংশ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দুষ্কৃতকারীদের উপদ্রব। বন উজাড়ের চেষ্টায় তারা আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলছে অসংখ্য ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ। বহু গাছের কোনোটার শরীর আগুনে পুড়ে গেছে। কোনোটা দাঁড়িয়ে আছে কঙ্কালের মতো। কোনোটা হেলে পড়েছে সৈকতে। কে বা কারা এই গাছ পুড়িয়েছে তা জানা নেই বনবিভাগের। স্থানীয় সূত্র জানায়, দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে কুয়াকাটা অন্যতম। এর মধ্যেই বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি অর্জন করেছে। দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সাগরের রুদ্র-রোষের কারণে হারিয়ে গেছে প্রকৃত সৌন্দর্য। এরই মধ্যে সাগরে গিলে খেয়েছে সারি সারি নারিকেল বাগান। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কয়েক বছর ধরে সৈকতের নানা প্রজাতির গাছ মারা যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বর্ষা মৌসুমে। ঢেউয়ের তণ্ডবে সৈকতের বালুর স্তর মাত্রাতিরিক্ত নেমে যাওয়ায় কোনো কোনো গাছের শিকড় বের হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ওইসব গাছ রোদ-বৃষ্টিতে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এদিকে হঠাৎ সৈকতে একাধিক গাছ আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে পর্যটক ও পরিবেশ কর্মীরা হতবাক। তবে গাছগুলো কে বা কারা পুড়িয়েছে তার সঠিক তথ্য বলতে পারেনি কেউ। পর্যটক শহিদুল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটার আগের সেই সৌন্দর্য যেন ক্রমশই ম্লান হতে চলেছে।  সৈকতের কোলঘেঁষা ‘কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান’ এখন পুরোপুরি হুমকির মুখে। এরই মধ্যে উদ্যানটির এক অংশ সাগরের বুকে বিলীন হয়ে গেছে। জেলে রহমান হাওলাদার বলেন, প্রায় তিন যুগ ধরে সাগরে মাছ শিকার করে আসছি। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গাছে হঠাৎ করে আগুন জ্বলতে দেখেছি। মহিপুর বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, মারা যাওয়া গাছগুলো কীভাবে পুড়েছে তা জানা নেই। পোড়া গাছগুলো নজরে আসার পর এর কারণ বের করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কলাপাড়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মাননু বলেন, এর দায় বনবিভাগ এড়িয়ে যেতে পারে না। কারণ সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বনবিভাগের।

সর্বশেষ খবর