শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

অসময়ে তিস্তা ধরলা ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধি, দুশ্চিন্তায় কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

অসময়ে তিস্তা ধরলা ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধি, দুশ্চিন্তায় কৃষক

অসময়ে বেড়েছে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি। তিস্তায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমলেও কাউনিয়া পয়েন্টে বেড়েছে। অনেক স্থানে চরের ফসল তলিয়ে গেছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে গত বুধবার ভোরে পানির প্রবাহ ছির ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার (গতকাল) ভোরে পানি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটারে। অরপদিকে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে। বৃহস্পতিবার এই পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ২৭ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন ওই পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয়েছে ২৭ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার। অপরদিকে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পানি বেড়ে গতকাল ২৩ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগের দিন ওই পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ২৩ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার। ব্রহ্মপুত্র নদের দুটি পয়েন্টে পানি বেড়েছে। বৃহস্পতিবার  নুনখাওয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয়েছে ২২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন ছিল ২১ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার। চিলমারী পয়েন্টে গতকাল পানির প্রবাহ ছিল ১৯ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার। বুধবার ওই পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয়েছে ১৯ দশমিক ০২ সেন্টিমিটার। তিস্তার পানি বাড়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়ার চরে কৃষকের লাগানো মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, ধান-গমসহ নানা ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, প্রতিবছর শীতকালে পানি কমে যাওয়ার পর তারা তিস্তার চরে ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এবার চৈত্র মাসে হঠাৎ তিস্তার পানি বাড়ায় তাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকে অপরিপক্ব ধান কেটে নিচ্ছেন। রংপুর জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, তিস্তায় পানি আবার বেড়ে যাওয়ায় চরের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ খবর