শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

হিলিতে পিঁয়াজের কেজি ১২ টাকা

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

হিলিতে পিঁয়াজের কেজি ১২ টাকা

২৯ মার্চের পর পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমাণে পিঁয়াজ আমদানি করেন বন্দরের আমদানিকারকরা। কিন্তু আমদানি বাড়লেও ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিনেও আমদানিকৃত পিঁয়াজ বিক্রি করতে না পেরে অতিরিক্ত গরমের কারণে পিঁয়াজে পচন ধরেছে। বাধ্য হয়ে খানিকটা কম দামে পিঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন আমদানিকারকরা এতে করে লোকশানের মুখে পড়েছেন। এদিকে কম দামে পিঁয়াজ কিনতে পেরে খুশি পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন। এদিকে পূর্বের পিঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় নতুন করে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন তারা। হিলিতে পিঁয়াজ কিনতে আসা নাজিম উদ্দিন বলেন, এইতো গুদাম থেকে পিঁয়াজ কিনলাম কমদামে ৫০ টাকা বস্তা হিসেবে। এগুলো নিয়ে পরিষ্কার করে ভালোগুলো বিক্রি করব। পিঁয়াজ কিনতে আসা আনন্দ বর্মণ বলেন, আগে তো পিঁয়াজের দাম ২০/২২ টাকা কেজি ছিল। এখন দাম কমে ১২/১৩ টাকা হয়েছে। তবে এখন খারাপ পিঁয়াজগুলোর দাম কমার কারণে এখান থেকে আমরা কম দামে কিনে নিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করে বাছাই করে ভালোগুলো ১২/১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। অপর পিঁয়াজ ক্রেতা শামিম হোসেন বলেন, আমরা এসব খারাপ পিঁয়াজ ক্রয় করে বাসায় নিয়ে বাছাই করে ভালো পিঁয়াজ বের করি। এর পর রোদে শুকিয়ে বা ফ্যানে শুকিয়ে আবার জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন হাটবাজারের মোকামে বিক্রি করছি। এতে করে আমাদের দুই টাকা বাড়তি আয় হচ্ছে যা দিয়ে সংসার চলছে। পিঁয়াজ কিনতে আসা বজলু শেখ বলেন, আমরা গরিব মানুষ বাজারে তো পিঁয়াজের দাম একটু বেশি ১৫ টাকা বা তার বেশি। কিন্তু এখানে একটু দাগি পিঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে কম দামে যার কারণে আমরা এখানে এসব পিঁয়াজ কিনতে আসছি। হিলি স্থলবন্দরের পিঁয়াজ আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকার কর্তৃক পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৯ মার্চের পরে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। বন্দর দিয়ে আর কোনো পিঁয়াজ আমদানি হবে না এমন খবরে ২৯ মার্চের মধ্যে বন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। যা দেশের বাজারে রমজানে বাড়তি চাহিদার তুলনার চেয়ে অনেক বেশি। যার কারণে আমাদের অনেক পিঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় বন্দর থেকে খালাস করে নিজস্ব গুদামে নামিয়ে রাখতে হয়েছে। এর ওপর সরকার নতুন করে ৫ মে পর্যন্ত পিঁয়াজ আমদানির সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে পূর্বের আমদানিকৃত পিঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় এখনো নতুন করে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। পূর্বে এত পরিমাণ পিঁয়াজ আমদানি হয়েছে যে গত সাত দিনেও শুধু ক্রেতা সংকটের কারণে এসব পিঁয়াজ বিক্রি সম্ভব হয়নি এখনো বেশ পরিমাণ পিঁয়াজ আমাদের গুদামে মজুদ রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরমের কারণে ইতোমধ্যেই মজুদকৃত পিঁয়াজে পচন ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভালোমানের পিঁয়াজ ১৩/১৫ টাকা বিক্রি করছি। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে মার্চ মাস জুড়েই পিঁয়াজের আমদানি অব্যাহত ছিল। সেসময় গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক পিঁয়াজ আমদানি হতো। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ৬৩টি ট্রাকে ১ হাজার ৬৯০ টন পিঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর