শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

খাবারের বিষক্রিয়ায় শিশুসহ ৫৫ জন হাসপাতালে

নওগাঁ প্রতিনিধি

খাবারের বিষক্রিয়ায় শিশুসহ ৫৫ জন হাসপাতালে

নওগাঁয় সেমাই, বার্গার ও পিৎজাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে গত মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত শিশুসহ ৫৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের সবাই পেটব্যথা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খাবারের বিষক্রিয়ায় এমন হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ভর্তি একাধিক রোগী ও তাদের স্বজন জানান, অসুস্থ সবাই ঈদের আগের দিন পরিবার-পরিজনের জন্য কেউ সেমাই, কেউ বার্গার আবার কেউবা পিৎজা কিনে আনেন। ঈদের দিন সেই খাবার খাওয়ার পর থেকেই অনেকের পেটব্যথা  ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকলে আক্রান্তরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী রাব্বি জান্নাত বলেন, আমার বাসা শহরের এটিম মাঠের পাশে। ঈদের রাতে একটি কনফেকশনারি দোকান থেকে দুটি বার্গার কিনে আমি ও আমার ছোট ভাই খাওয়ার এক ঘণ্টা পর বমি শুরু হয়। এরপর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। বাবা রাতে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করান। শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, একই দোকান থেকে আমি দুটি বার্গার ও দুটি পিৎজা কিনে বাসায় আনি। এগুলো খাওয়ার কিছুক্ষণ পর আমার দুই ছেলের বমি ও পেটব্যথা শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তি করাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরামবাগ কনফেকশনারির মালিক কাজী খালেক বলেন, আমরা ৭-৮ বছর ধরে ব্যবসা করছি। চেষ্টা করি মানসম্মত খাবার তৈরি করতে। হঠাৎ কেন এত মানুষ অসুস্থ হলো সেমাই, বার্গার ও পিৎজা খেয়ে আমি বুঝতে পারছি না। অসুস্থ ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যদি আমার দোকানের খাবার খেয়েই তারা অসুস্থ হয় তবে আমার পক্ষ থেকে যা করা দরকার করব। নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনছার আলী জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। অসুস্থ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি অন্যদের সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে। নওগাঁ ভোক্তা অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। সার্বিক বিষয় অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনাটি আমরা অধিকতর তদন্ত করছি।

সর্বশেষ খবর