সিলেট আকস্মিক বন্যায় ধস নেমেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার পর্যটনশিল্পে। এ উপজেলায় বন্যা না হলেও দুই সপ্তাহ ধরে কোনো পর্যটক এখানে আসছেন না। বাতিল করে দিচ্ছেন আগাম বুকিং দেওয়া রুম। তাই খালি পড়ে আছে এখানকার অধিকাংশ রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল। এতে আবারও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। জানা যায়, পর্যটনশিল্প ঘিরে এখানে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে শতাধিক রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর এসব রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল বন্ধ ছিল। এতে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি গুনতে হয়েছে রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল মালিকদের। তিন-চার মাস আগে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আবারও পর্যটক আসতে শুরু করেছিলেন। পর্যটনসংক্লিষ্টরা জানান, তাঁরা আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। চেষ্টা করছিলেন ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার। শ্রীমঙ্গল শান্তিবাড়ী ইকো কটেজের মালিক লিংকন জানান, সিলেটে বন্যা হওয়ায় পর্যটকরা তাঁদের বুকিং বাতিল করে দিচ্ছেন। ১৫ দিন ধরে তাঁর কটেজটি খালি পড়ে আছে। পাঁচ তারকা মানের গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের জি এম আরমার খান বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে কোনো বন্যা হয়নি। তবু আমরা বুকিং পাচ্ছি না। সিলেট মানেই তো শ্রীমঙ্গল নয়, শ্রীমঙ্গল একটি আলাদা উপজেলা। এখন বর্ষা মৌসুমে পর্যটকরা এখানে এসে প্রকৃতির অবারিত সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারবেন।’