শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

তিন গ্রামের দুর্ভোগ ৪ কিমি সড়ক

বর্ষা মৌসুমে কাদাপানি মাড়িয়ে স্কুল কলেজে যায় ছেলে-মেয়ে

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

তিন গ্রামের দুর্ভোগ ৪ কিমি সড়ক

বন্যার পানির তোড়ে সুনামগঞ্জ-সাচনা সড়কে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার তিনটি গ্রাম খুপিবাড়ী, লাহিড়বাড়ী ও ফসল। এই তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আঙ্গারখোলা বাজার থেকে চাপড়ি পর্যন্ত বেহাল সড়কের কারণে বংশাই নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা তিনটি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। জানা যায়, তিন গ্রামের মানুষ এক সময়ে বংশাই নদী দিয়ে নৌকায় চলাচল করতেন। নদীটি মরে যাওয়ায় এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন বর্ষায় কোনোভাবে নৌকায় চলাচল করতে পারলেও শুষ্ক মৌসুমের একমাত্র ভরসা আঙ্গারখোলা বাজার থেকে চাপড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা। ছেলে-মেয়েদের কাদাপানি মাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। জরুরি কাউকে হাসপাতালে নিতে হলে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। একটি মাত্র রাস্তার অভাবে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত এ এলাকার মানুষ। তাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব সড়কটি পাকা করার। খুপিবাড়ী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোনায়েম খান বলেন, আমরা চিরদিন অবহেলিত রয়ে গেলাম। আগে বংশাই নদী দিয়ে নৌকায় যাতায়াত করতাম। এখন নদীতে নৌকাও চলে না। ভোটের আগে সব নেতাই রাস্তাটি পাকা করার কথা বলে যান। ভোট শেষে তাদের আর পাওয়া যায় না। লাহিড়বাড়ী গ্রামের গোপীনাথ বলেন, বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে কষ্টে কান্না আসে। দেশে এত উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, তিনি যেন রাস্তাটি পাকা করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন। সংগ্রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম মিয়া বলেন, একটি রাস্তার অভাবে হাজার হাজার মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার লিখিত আবেদন জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর বলেছে, কাগজপত্র ওপরে পাঠানো হয়েছে, দ্রুতই কাজ হবে। ঘাটাইল উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম শাহাদৎ হোসেন বলেন, সংগ্রামপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। তবে রাস্তাটি বংশাই নদীর পাড় ঘেঁষে যাওয়ায় দ্রুত কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ রাস্তাটি করতে হলে আগে নদীর পাড় বাঁধতে হবে। এ জন্য বড় প্রকল্প দরকার।

সর্বশেষ খবর