সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ৩০ জুন রুপালী খাতুন (২৫) নামে এক নারী ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। রাত ৯টার দিকে কালিগঞ্জ হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন তাকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। পরে অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ওই নারী একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেন। অপারেশনের পর নবজাতক ও মা দুজনই সুস্থ ছিলেন। স্বজনদের অভিযোগ, রাতে নবজাতককে অক্সিজেন দেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরে সেটি খুলে ফেলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে বলেন। দুধ খাওয়ানোর পর নবজাতক ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  নবজাতকের বাবা নিয়াজী জানান, অপারেশনের পর সুস্থ সন্তান জন্ম নেয়। তখন সন্তান ও তার মা দুজনই সুস্থ ছিল। তাহলে কীভাবে ঘুমের মধ্যে আমার শিশু বাচ্চা মারা গেল। নিশ্চয় কারও না কারও অবহেলা ছিল। ওই ক্লিনিকের মালিক আসমত আলীর কাছে জানতে চাইলে প্রথমে শিশুটি মায়ের গর্ভে মারা গেছে বলে দাবি করেন। সুস্থ সন্তানের জন্ম হয়েছে এমন কথা ডাক্তার জানিয়েছেন জানালে আসমত আলী বিষয়টি এড়িয়ে যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ না দিতে নানাভাবে ওই নবজাতকের বাবাকে হুমকি দিচ্ছেন ক্লিনিক মালিক আসমত। রুবেল নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, ঘটনাটি কাউকে না বলতে নবজাতকের বাবাকে হুমকি দিচ্ছেন ক্লিনিক মালিক। এর আগেও ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভুলে কয়েকজন প্রসূতি ও নবজাতক মারা গেছেন। অনেকবার ক্লিনিকটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওই যুবকের দাবি, মানহীন এই ক্লিনিকটিতে প্রায়ই এ রকম দুর্ঘটনা ঘটে। সাময়িক এটি বন্ধ থাকে। কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ফের চালু করা হয়। চিকিৎসক আলমগীর হোসেন জানান, আমি অপারেশন করার পর নবজাতক ও মা দুজনই সুস্থ ছিলেন। শুনেছি ঘুমের মধ্যে মারা গেছে। কী সমস্যা হয়েছিল এটা আমি জানি না। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, কোনোভাবেই নবজাতকের মৃত্যু কাম্য নয়। এ ঘটনায় তদন্ত করে যারই অবহেলা পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর