মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

লোকসান গুনছেন পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র চা চাষিরা

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

লোকসান গুনছেন পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র চা চাষিরা

বাগানে চা পাতা সংগ্রহে ব্যস্ত শ্রমিকরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিলেট এবং চট্টগামের চা শ্রমিকদের মজুরি সংকটের অভিযোগ উঠলেও উত্তরের সমতল এলাকার চা শ্রমিকরা পাচ্ছেন নায্যমূল্য। তারা দিনে আয় করছেন ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এতে তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটেছে। তবে শ্রমিক সংকট ও খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। হাত দিয়ে একটি পাতা দুটি কুঁড়ি কাঁচা চা পাতা তোলার নিয়ম থাকলেও কাঁচি দা দিয়ে চা পাতা কাটছেন এই এলাকার চা শ্রমিকরা। ফলে চায়ের মান কমে গেলেও শ্রমিদের মজুরির সঙ্গে সামঞ্জস্য মেলাতে চা চাষিরাও হাতে তোলা চা পাতা সরবরাহ করতে পারছেন না।  উত্তরের সমতল অঞ্চলের এই জেলাগুলোতে বেড়েই চলেছে চা চাষ। ক্ষুদ্র কৃষকরাও বাড়ির আনাচে-কানাচে গড়ে তুলছেন চা বাগান। কারখানায় সরবরাহের জন্য কাঁচা চা পাতা তুলছেন স্থানীয় চা শ্রমিকরা। গভীর রাতে কাঁচি দা দিয়ে ধান কাটার মতোই তারা কাঁচা চা পাতা কাটা শুরু করেন তারা। বেলা ১১টার মধ্যে কাঁচা চা পাতা চা চাষিদের সরবরাহ করেন। শ্রমিকরা ৩ টাকা কেজি দরে বাগান থেকে কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ করেন। একজন শ্রমিক ২০০ থেকে ৪০০ কেজি চা পাতা সংগ্রহ করতে পারেন। ফলে তাদের দিনে আয় হয় ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এতে তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটেছে। ক্ষুদ্র চা চাষিরা বলছেন, শ্রমিকের মজুরি এবং অন্যান্য খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। কাঁচি দা দিয়ে পাতা সংগ্রহের কারণে চায়ের মান কমে যাচ্ছে। ফলে কাঁচা চা পাতার সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না তারা। বর্তমানে কারখানাগুলো ১৪ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে কাঁচা চা পাতা কিনছে। এর মধ্যে কাঁচি দিয়ে কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ, লম্বা পাতা, ডাল সরবরাহসহ নানা অজুহাতে প্রতিকেজিতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ চা পাতার দাম দিচ্ছে না কারখানা মালিকরা। বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামীম আল মামুন বলেন, সমতল অঞ্চলের চা শ্রমিকদের জীবনে পরিবর্তন এসেছে । তবে কাঁচি দিয়ে চা পাতা কাটা বিজ্ঞানসম্মত নয়। এতে চায়ের মান খারাপ হয়।

সর্বশেষ খবর