সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

আমনের মাঠে সবুজের সমারোহ

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

আমনের মাঠে সবুজের সমারোহ

বগুড়ায় চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়াসহ অন্যান্য সার পেয়ে আমন আবাদে মাঠে নেমেছেন চাষিরা। জেলায় সারের সংকট না থাকায় চাষিরা আগের থেকেই দ্বিগুণ উদ্দীপনায় আমন চাষে মনোযোগী হয়েছেন। আমনের খেতে সার দেওয়ায় মাঠে মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। চাষিরা বলছেন, সারের সংকট না থাকায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও আমনের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত সার থাকার পরেও আরও ২ হাজার মেট্রিক টন সার পেয়েছে বগুড়া জেলা। জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়া জেলায় ধান, সবজি ও আলুর আবাদ সবচেয়ে বেশি হয়। বগুড়ায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২ লাখ ২৪ হাজার ৮৩০ হেক্টর। বর্তমানে মাঠে শাকসবজি আবাদের পাশাপাশি রোপা আমন ধান রোপণ চলমান রয়েছে। জেলায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এরই মধ্যে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শতভাগ জমিতে রোপণ সম্পন্ন হবে বলে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মাঠে মাঠে চাষিরা আমন চাষের পর এখন নিড়ানি ও আগাছা পরিষ্কার করছেন। রোপণকৃত প্রায় ৭৫ ভাগ জমিতে ইউরিয়া সারের প্রয়োগ চলছে। জেলায় সারের সংকট না থাকায় চাষিরা ডিলারদের কাছ থেকে সার নিয়ে জমিতে ছিটানো শুরু করেছেন। এবার সময় মতো সার পাওয়া গেছে। জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরের আমন চাষি কামাল হোসেন জানান, সার নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছি। জমিতে সার দেওয়াসহ এখন নিড়ানির কাজ চলছে। সারিয়াকান্দির ইউপির পারতিতপরল গ্রামের কৃষক আবদুল হামিদ বলেন, জমি চাষের পর ডিলারের কাছে থেকে ইউরিয়া সার পাওয়া যাচ্ছে। ১১০০ টাকা বস্তা সার নিয়ে জমিতে ব্যবহার করা হয়েছে। সার নেওয়ার সময় অন্যান্য আমন চাষিরাও একই দামে সার ক্রয় করেছেন। সারিয়াকান্দি কৃষি কর্মকর্তা আবদুল হালিম বলেন, উপজেলায় ১৪ জন ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের সার বিতরণ চলছে। গত চালানে আমরা ৮৪৫ মে. টন ইউরিয়া সার ডিলারদের মাঝে বিতরণ করেছি। রবিবার সকালে আরও ১৮৬ মে. টন ইউরিয়া সারের অতিরিক্ত চালান এসেছে, যা বিক্রি অব্যাহত আছে। প্রত্যেক ডিলারদের সঙ্গে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার বিক্রয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন। এতে করে প্রকৃত কৃষকরাই সার পাচ্ছেন। উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ দুলাল হোসেন জানান, সারের কোনো সংকট নেই। চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে নিয়মিতভাবে সার মাসের শুরুতেই বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ খবর