শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

গাইবান্ধায় লেপ তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় লেপ তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

শীতকাল আসতে এখনো বাকি এক মাসের বেশি। কার্তিক মাসের অর্ধেক পার হতে না হতেই উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় শীতের আমেজ। শীত নিবারণের লেপ তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাইবান্ধার কারিগররা (ধুনকর)। গাইবান্ধা শহরের কাচারী বাজার এলাকায় পুরাতন জজ কোর্ট চত্বরে লেপ-তোশক তৈরির কাজ চলে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে। এখানে ৬০-৭০ জন ধুনকর আছেন। তারা সবাই ধুনকর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য। এই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, সারা বছর তোষক তৈরির কাজ হয় তবে শীতে লেপ-তোষক তৈরির কাজ বেড়ে যায়। জেলায় সাতটি তুলা তৈরির কারখানায় গার্মেন্টের ঝুট থেকে তুলা তৈরি হয়। তিনি জানান, লেপ-তোশক তৈরিতে আকার ভেদে খরচ পড়ে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। বাজারে দেশি-বিদেশি কম্বলের প্রচলন হওয়ার পর লেপের ব্যবহার কমে গেলেও উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় মানুষ লেপ ব্যবহার করতে বাধ্য হন। তাই কারিগররা এই ঋতুতে দম ফেলার ফুরসত পান না। প্রবীণ ধুনকর ইলিয়াস বাঙালি বলেন, তুলা ও কাপড় কিনে দেন ক্রেতারা। আমরা শুধু তৈরি করে দিয়ে মজুরি নেই। প্রতিটি লেপ বা তোশক তৈরিতে ২৫০-৩০০ টাকা মজুরি পাই। একজন কারিগর প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচটি লেপ বা তোশক তৈরি করতে পারেন। লেপ তৈরি করতে আসা পূর্বপাড়ার বাসিন্দা মোস্তফা বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় লেপ তৈরির খরচ বেড়েছে। আগে যে লেপ ৮০০ টাকায় তৈরি করা যেত এখন তা করতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হচ্ছে। ধুনকর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, কাজ করার জন্য আমাদের কোনো স্থায়ী জায়গা নেই। পুরাতন জজ কোর্টের ফাঁকা জায়গায় আমরা কাজ করি। এখানে কোনো শেড না থাকায় শীত বৃষ্টি রোদে কাজ করতে কষ্ট হয়। গাইবান্ধা পৌর মেয়র মতলুবর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।

সর্বশেষ খবর