শিরোনাম
সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বেহাল গোবিন্দগঞ্জ পৌর মাছ বাজার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

বেহাল গোবিন্দগঞ্জ পৌর মাছ বাজার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের পৌর বাজারের মাছ বাজারটির বেহাল দশায় জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। পৌরসভা বাজারটি থেকে নিয়মিত খাজনা আদায় করলেও এর অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কোনো উন্নয়ন করছে না বলে পৌরবাসীর অভিযোগ। বিগত ১৯৯৮ সালে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় পরিণত হয়ে ২০১৪ সালে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। এখানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু পৌরবাজারটির অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। এখানে মাছ বাজারটি দুভাগে বিভক্ত। একটি অংশে মাছের পাইকারি বেচাকেনার আড়ত। অন্য অংশে খুচরা ব্যবসায়ীরা মাছ বিক্রি করেন। মোট ২৩৩ জন ব্যবসায়ী এখানে ব্যবসা করেন। পৌর শহরে একমাত্র মাছ বাজারটিতে পৌরসভা ও আশপাশের এলাকার লোক মাছ কিনতে আসেন। আবার বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে পাইকারি ক্রেতারা আসেন এখানে মাছ কেনাবেচা করতে। কিন্তু গত ৬/৭ বছর থেকে বাজারটির ভগ্নদশা। খুচরা মাছ বাজারের টিনের চাল বহু আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ঝুলে আছে। বৃষ্টি পড়লেই বিপাকে পড়েন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। মাছ বাজারে আসা পৌর শহরের বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, টিনের চালগুলোর ভাঙা অংশ শুধু ঝুলছে। ফলে বৃষ্টিতে একহাঁটু পানি জমে মাছ বাজারে অন্যদিকে ছাতা মাথায় দিয়েও বাজার করার উপায় থাকে না। কাঁদাপানিতে বাজার করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়। মাছ বাজারে আসা মানে রীতিমতো যুদ্ধ। মাছ বিক্রেতারা জানালেন তাদের অসুবিধা সবচেয়ে বেশি। মাছ নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেই বসে থাকতে হয় সারা দিন। তাছাড়া মাছের পসরা নিয়ে বসবার বেদিটিও পুরাতন হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ বাজারে প্রতিদিন ৫০/৬০ লাখ টাকার মাছ কেনাবেচা হয়। রাজশাহী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, রংপুর, গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন মাছ ব্যবসায়ীরা এখানে মাছ কেনাবেচা করতে আসেন। এছাড়া খুচরা ক্রেতার ভিড়ও লেগে থাকে। কিন্তু হাজারও বিড়ম্বনায় পড়েন তারা। পাইকারি ক্রেতাদের থাকা, খাওয়া, টয়লেটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি বলেন, পাইকারি মাছ বাজারটি ঠিকঠাক আছে তবে খুচরা মাছ বাজারটির জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর