রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নগরকান্দায় ঝুঁকিপূর্ণ জোড়াতালির সেতু

অজয় দাস, ভাঙ্গা

নগরকান্দায় ঝুঁকিপূর্ণ জোড়াতালির সেতু

এক সময়ের অবহেলিত নগরকান্দায় যোগাযোগ ক্ষেত্রে বেশ উন্নয়ন হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ততকালীন বন ও পরিবেশমন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর উদ্যোগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নগরকান্দায় অনেক রাস্তা, সেতু নির্মিত হয়। উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নগুলোর যোগাযোগ স্থাপন হয়। কিন্তু নগরকান্দা উপজেলা শহরে প্রবেশের প্রধান সেতুর কোনো উন্নয়ন হয়নি। বারবার ধসে পড়ার পরও জোড়াতালি দিয়ে টিকে আছে সেতুটি। উপজেলার প্রধান সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি উপজেলাবাসীর। এলাকাবাসী জানান, ১৯৯১ সালের আগে নগরকান্দা উপজেলা শহরে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যেত না। বর্তমান নগরকান্দা পৌরসভার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদে সেতু না থাকায় উপজেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না। ১৯৯১ সালে নগরকান্দা কুমার নদে বেইলি সেতু নির্মাণের ফলে উপজেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৭ মিটার, প্রস্থ ৬ মিটার। এ সেতু নির্মাণের পরেই ফরিদপুর-নগরকান্দা-মুকসুদপুর বাস চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এ সড়কটি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সরেজমিন দেখা যায়, সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে এ সেতুর ওপর দিয়ে ৭ টনের অধিক যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বেইলি সেতুটির অসংখ্য জায়গায় জোড়াতালি দেওয়া দেখা গেছে। এলাকাবাসী আরও জানায়, সেতুটি কয়েক বছর ধরেই বেহাল। সেতুটির বিভিন্ন জায়গার স্টিলের পাত খসে পড়ায় একাধিক সময়ে সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৯ মার্চ বালুভর্তি ট্রাকসহ সেতুটি ভেঙে পড়ে। তখন যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল কিছু দিনের জন্য। তারপর আবারও জোড়াতালির মেরামত করে সেতু চালু করা হয়। এলাকাবাসী এ বেইলি সেতু অপসারণ করে সেখানে আরসিসি সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধনও করেছে এর আগে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান বলেন, বেইলি সেতুর জায়গার আরসিসি সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর