নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তিন গৃহবধূ পৃথকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। তারা হলেন- মুক্তা রানী (২৫), নাছিমা বেগম (২৪) ও আরিফা বেগম (২৬)। এই তিন গৃহবধূর প্রত্যেকের স্বামী ও শিশু সন্তান রয়েছে। গতকাল নিখোঁজ তিন গৃহবধূর স্বামী বন্দর থানায় পৃথক অভিযোগ করেছেন। নিখোঁজ মুক্তা রানী কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বারারা গ্রামের খোকন চন্দ্র ধরের স্ত্রী। তাদের সংসারে ৮ বছর বয়সের একটি মেয়ে ও ছয় বছর বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় গৃহবধূ নাছিমা আক্তার বন্দর থানার দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার নাজিম মিয়ার স্ত্রী। তাদের সংসারে ৭ বছর বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। তৃতীয় গৃহবধূ নিখোঁজ আরিফা আক্তার বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকার এরশাদ মিয়ার স্ত্রী। তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সের ও ৪ বছর বয়সের দুটি মেয়ে রয়েছে। এ বিষয়ে নিখোঁজ মুক্তা রানীর স্বামী খোকন চন্দ্র ধর জানান, প্রায় ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে মুক্তা রানীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সংসারে একটি মেয়ে যোয়িতী রানী ও ছেলে মিঠু রয়েছে। সংসারে অর্থ সংকটের জন্য তার স্ত্রী মদনপুর নারিছ গার্মেন্টসে কাজ নেয় এবং সেখানে কাজ করার সূত্রে মুক্তার সঙ্গে একটি ছেলের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে সংসার-সন্তান ফেলে ৩ জানুয়ারি সকালে কাজের কথা বলে চলে যায় আর বাড়ি ফেরেনি।
নিখোঁজ নাছিমা আক্তারের স্বামী নাজিম মিয়া জানান, প্রায় সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে নাছিমা বেগমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সংসারে সিফাত নামে একটি ছেলে রয়েছে। স্বামী-সন্তান ফেলে ৮ জানুয়ারি থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজ আরিফা বেগমের স্বামী এরশাদ মিয়া জানান, প্রায় ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আরিফার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সংসারে দুটি মেয়ে জানাতুল ফেরদৌস ও হালিমাতুল ছাদিয়া রয়েছে। ফেসবুক সূত্রে আরিফার সঙ্গে একটি ছেলের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে আমাকে ও আমার মেয়েদের ফেলে ৮ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে চলে যায়। সে আর বাড়ি ফেরেনি।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, নিখোঁজের ঘটনায় তদন্ত চলছে। কেন, কী কারণে তারা নিখোঁজ এ বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
