মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
ভোলায় সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি

সাত মাস অন্ধকারে দুই ইউনিয়ন

জুন্নু রায়হান, ভোলা

সাত মাস অন্ধকারে দুই ইউনিয়ন

বিদ্যুৎ নেই, কুপির আলোতে চলছে পড়াশোনা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সাত মাস ধরে বিদ্যুৎবিহীন ভোলার দুই ইউনিয়নের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। মেঘনা নদীর তলদেশ দিয়ে নেওয়া সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটিজনিত কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে মদনপুর ও কাচিয়া ইউনিয়ন। বিদ্যুৎ না থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান ও লাইটসহ বৈদ্যুতিক সামগ্রী। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। দ্রুত বিদ্যুৎ ফিরে পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন চরবাসী। জানা যায়, মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন মেঘনা নদীর মাঝে জেগে ওঠা মদনপুর এবং কাচিয়া মাঝের চরে জনবসতি গড়ে উঠেছে তিন দশক আগে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস ওই এলাকায়। জানা যায়, গত বছর ২৩ জুন হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অনেক অনুসন্ধানের পর বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, সাবমেরিন ক্যাবলের ত্রুতি দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মেঘনা নদীর সাবমেরিন ক্যাবল এলাকায় বড় বড় কার্গো জাহাজ নোঙর করে। আর সে সময় জাহাজের অ্যাংকর বা গ্রাফির কারণে সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাত মাস ধরে মেরামত করা সম্ভব হয়নি সাবমেরিন ক্যাবলের ত্রুটি। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে অন্ধকারে জীবন কাটাচ্ছেন দুই চরের বাসিন্দারা।  পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাবি, ওই সাবমেরিন ক্যাবল লাইন এলাকায় মেঘনা নদীতে অতিরিক্ত জাহাজ নোঙর করে রাখায় ছিঁড়ে যায় ক্যাবলটি। ছিঁড়ে যাওয়া ক্যাবলটি মেরামতের জন্য তারা প্রশাসনিক আনুমতি পেয়েছে। এখন শুধু আর্থিক আনুমোদন পেলে এক মাসের মধ্যে চরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা সম্ভব হবে। ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আলতাপ হোসেন জানান, মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের আওতায় ১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল লাইন টেনে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর ও দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে। দুই চরে বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন ৮ শতাধিক।

সর্বশেষ খবর