বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি বন্ধের দাবি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

ঐতিহ্যবাহী লালমনিরহাট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাস্তার দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল প্রতিষ্ঠানের সামনে শহরের থানা রোডে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। লালমনিরহাট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়। অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই বিদ্যালয়ে টিফিন বন্ধ ও বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশনা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের আইসিটি ও বিজ্ঞান ল্যাব অচল থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের কমনরুম।

শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক কোচিংয়ে বাধ্য করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি বন্ধ রাখা হয়েছে এবং কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত হলেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। বিদ্যালয়ে দরিদ্র তহবিলের টাকা থাকলে এর হিসাব নেই। শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, জেলার সুনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান বর্তমানে নিম্নমুখী। এর কারণ হিসেবে শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস না নেওয়াকে দায়ী করছেন। এ সময় শিক্ষকরা টিউশনিতে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা দ্রুত চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধান করার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করার আগে তাদের অভিযোগগুলো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। সব শিক্ষককে নিয়ে বৈঠক করে বিদ্যালয়ের টিফিন বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের লাইবে্িরর ও আইসিটি ল্যাব দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, এগুলো দ্রুত চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি জানান, বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক কোচিং চালাচ্ছেন না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ খুবই সতর্ক রয়েছেন। ‘বিদ্যালয়ে ক্যান্টিন ব্যবস্থা চালু থাকায় টিফিন বন্ধ রয়েছে। তবে অভিভাবকরা দাবি করলে পুনরায় টিফিন ব্যবস্থা চালু করা হবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের তুলে ধরা অন্য সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯১৯ সালে। আর জাতীয়করণ হয় ১৯৮১ সালে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১ হাজার ২৩৫ শিক্ষার্থী ও ৪৭ শিক্ষক রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর