শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

১১ মাস পর জেল থেকে বের হয়ে আবারও একই অপকর্ম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

তিন সন্তানের জনক বোরহান উদ্দিন (২৮)। কখনো মাদরাসার শিক্ষক, কখনো মসজিদের ইমাম হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন। যেখানে চাকরি করেছেন সেখানেই অভিযুক্ত হয়েছেন অপহরণ ও ধর্ষণে। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। জেলও খেটেছেন টানা ১১ মাস। সম্প্রতি এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) অপহরণ করে নিয়ে যান বোরহান উদ্দিন। কিন্তু রেহাই পেলেন না। গতকাল র‌্যাব-৯ সিপিসি-১-এর সদস্যরা হবিগঞ্জের সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। উদ্ধার করেন অপহৃত স্কুলছাত্রীকে। বোরহান উদ্দিন জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে। র‌্যাব-৯-এর কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী থেকে এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ করে নিয়ে যান বোরহান উদ্দিন। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তার পরিবার থেকে র‌্যাবকে বিষয়টি জানানো হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। অবশেষে ঘটনার ১০ দিন পর র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বোরহান উদ্দিন ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, বোরহান উদ্দিন বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক।

তিনি একজন লেবাসধারী ইমাম। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ১০ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ধর্ষণ-অপহরণের অভিযোগে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ করে তিনি সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে আবারও অপকর্ম শুরু করেছেন। তিনি জানান, সদর উপজেলার আহরন্দে একটি স্কুলে সম্প্রতি অপহৃত স্কুলছাত্রী পড়াশোনা করেন। একসময় ওই এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন বোরহান উদ্দিন। সেই থেকে নানাভাবে ওই স্কুলছাত্রীকে ফুসলানোর চেষ্টা করে আসছিলেন। এরই জেরে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেন বোরহান উদ্দিন। তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর