শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বর্জ্যে বিপর্যস্ত কুয়াকাটা

যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

কলাপাড়া প্রতিনিধি

বর্জ্যে বিপর্যস্ত কুয়াকাটা

কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে সড়কের পাশে ফেলে রাখা আবর্জনা ও নোংরা পানি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এখানাকর প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্য মুগ্ধ করে যে কাউকে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পাশেই যেখানে-সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন হোটেলের বর্জ্য। ফলে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পরিবেশ। নিচু স্থানে দীর্ঘদিন ধরে জমে রয়েছে নোংড়া পানি। বর্জ্যরে স্তূপ ও পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আগত পর্যটকরা। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব বর্জ্য অপসারণ না করায় এমন দূরাবস্থা হয়েছে বলে দাবি হোটেল মালিক ও স্থানীয়দের। সরজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতের বেড়ি বাঁধের কোল ঘেঁষে ফাঁকা জায়গায় বেশ কয়েকটি হোটেলের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ময়লাযুক্ত পানি গিয়ে জমছে নিচু স্থানে। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা খাবারের অবশিষ্টাংশ এবং পচা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। সৈকতে নামার রাস্তার দুই পাশেই এমন অবস্থা। এছাড়া পর্যটকদের খাবারের অবশিষ্টাংশসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের বোতল ফেলে দেওয়া হয় সৈকতে। জিরো পয়েন্টের আশপাশে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ফুসকা-চটপটি এবং ফিস ফ্রাইয়ের দোকান। এসব দোকানের বর্জ্যও ফেলা হয় সড়কের পাশে ও সৈকতে। পর্যটক দম্পতি শামিম ও শারমিন জানান, কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করেছে। তবে জমে থাকা পানির দুর্গন্ধে তারা বিরক্ত। খোলা কোনো জায়গায় বসে একটু চা-পান করার মতো অবস্থা নেই। আরাফাত রহমান নামে এক পর্যটক বলেন, এখানে যে যার মতে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তারা বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখছেন ময়লা-আবর্জনা। সৈকত এলাকা সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখতে কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা। চা বিক্রেতা হানিফ গাজী জানান, দুর্গন্ধে এখানে বসা যায় না। খুব কষ্ট করে ব্যবসা করি। পর্যটকরা আমাদের গালি দেন। উপজেলা সেনিটারি ইন্সপেক্টর মিনাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, কয়েকদিন আগেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার  তৈরি এবং যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার কারণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় খাবার রেস্তোরাঁ মালিককে জরিমানা করেছি। আবার এ রকম অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বর্জ্য ফেলার বিষয়ে পৌরসভা থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকদের একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর