শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

নীলফামারীর নদ-নদীতে চাষাবাদ

আবদুল বারী, নীলফামারী

নীলফামারীর নদ-নদীতে চাষাবাদ

নীলফামারীর অভ্যন্তরীণ নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় চার বছর আগে। এরই মধ্যে বিভিন্ন নদীতে পলি জমে চর জেগেছে। এসব চরে বেড়েছে বোরো আবাদ। পলিমিশ্রিত উর্বর জমি হওয়ায় ফলনও ভালো হচ্ছে। কৃষকরা লাভবান হলেও সার-কীটনাশকের ব্যবহার, স্রোত আটকে চাষাবাদের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। নদী পাড়ের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, এক সময় নদীগুলোতে পানি প্রবাহ ছিল। নদীপারের কৃষকরা চরে বিভিন্ন ফসল আবাদের ফলে গভীরতা কমে গেছে। নদী ভরাট হচ্ছে। কাজে আসছে না খননও। নীলফামারী সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের কৃষক মজনু মিয়া বলেন, এক বিঘা জমিতে ১০-১৫ মণ ধান পাওয়া যায়। শুধু বোরো নয়, কিছু এলাকায় নদীর বুকে অন্য ফসলও আবাদ হচ্ছে। নদীর বিভিন্ন জায়গা উঁচু নিচু থাকে। পৌষ মাসে নদী কেটে জমি প্রস্তুত করি। ফাল্গুনে বোরোর চারা রোপণ করি। জ্যৈষ্ঠ মাসে বোরো ধান কেটে ঘরে তুলি। চারা রোপণে সময় সেচ দিতে হয় না। সেচের পানির দরকার হলে নদীতে বাঁধ (আইল) বেঁধে দিয়ে নদীর স্রোত বন্ধ করলে কিছুক্ষণের মধ্যে জোয়ারের পানি উঠে যায়। এখানে আর শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি দিতে হয় না। এক সময় নদীগুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া গেলেও এখন মাছশূন্য হয়ে পড়েছে। নীলফামারী উন্নয়ন কমিটি সভাপতি আবু মুসা মাহামুদুল হক বলেন, নদী শুকিয়ে যাওয়ায় জেগে উঠা চরগুলোতে স্থানীয় কৃষকরা বোরোসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করছেন। ব্যবহার করছেন কীটনাশক। বিভিন্ন সার ব্যবহারের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি মাছসহ জলজ কীটপতঙ্গ। নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বন্ধ করে আবাদ করার ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণকমল চন্দ্র সরকার বলেন, ৬৪ জেলার অভ্যন্তরীণ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর নদী, খাল খনন তিন-চার বছর আগেই শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে নীলফামারীতে ৪০০ কিলোমিটার নদীখনন করা হয়েছে। নদীখননের কিছু কাজ চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ খবর