শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

২২ জনের ঠাঁই হলো বৃদ্ধাশ্রমে

নীলফামারী প্রতিনিধি

২২ জনের ঠাঁই হলো বৃদ্ধাশ্রমে

জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ‘নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রম’। পরিবারবিচ্ছিন্ন ২২ জনের ঠাঁই হয়েছে এখানে। উপজেলা সদর ইউনিয়নের কিশোরগঞ্জ সরকারি কলেজের কাছে ২০১৮ সালের ১৮ জুন যাত্রা করে এটি। এ বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা সরকারপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী সাজেদুর রহমান সাজুর প্রচেষ্টায়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে চলেছে জেলার একমাত্র বৃদ্ধাশ্রমটি। ১০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন ২২ জন অসহায় বাবা-মা ও প্রতিবন্ধী নারী। এরা সবাই অতিদরিদ্র, সহায়সম্বলহীন এবং পরিবারবিচ্ছিন্ন। কেউ খোঁজ রাখেন না তাদের। দিনাজপুরের গজারহাট মাস্টারপাড়া গ্রামের সুমিত্র কুমার দাস বলেন, ‘আমরা এখানে ভালোই আছি। সেবাযত্ন পাই, তিন বেলা খাবার পাই। এখানে ঠাঁই হয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আমার ভাই এখানে আমাকে রেখে গেছে আর খবর নেয় না।’ সৈয়দপুর উপজেলার আনোয়ারুল ইসলাম দুলাল বলেন, ‘মেয়ে স্পেনে থাকে, মোবাইলে কল দিলে রিসিভ করে না। আমার বোন এখানে আমাকে রেখে গিয়েছিল। পরিবারের কেউ খবর নেয় না। কী ছেলে কী মেয়ে।’ 

 

কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রদীপ শিখা যুব ফাউন্ডেশনের সংগঠক রোকুনুজ্জামান লিখন বলেন, ‘বৃদ্ধাশ্রমে এসেছি অসহায় বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের এক বেলা খাওয়ানোর জন্য। আমরা তাদের খোঁজখবর রাখি। সপ্তাহে এক দিন করে আমরা খাবারের ব্যবস্থা করি।’ বৃদ্ধাশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাজেদুর রহমান সাজু বলেন, ‘সংগীতশিল্পী নচিকেতার বিখ্যাত গান বৃদ্ধাশ্রম-এ অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি গড়ার পরিকল্পনা নিই। সমাজের অসহায়, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের কষ্ট দেখে মূলত এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলি। নিবাসীদের তিন বেলা খাওয়ার জন্য একজন মহিলা নিয়োজিত রয়েছেন। তিনিও অসহায়, পরিবারবিচ্ছিন্ন। রান্নার কাজটি তিনিই করেন স্বেচ্ছায়।’ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর